গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের নির্দেশ কিম জং উনের

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তাদের দেশের কর্মকর্তাদের প্রথম গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের নির্দেশ দিয়েছেন। বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে আসা হুমকি মোকাবেলায় নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্যই এই গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। খবর আল জাজিরা ও রয়টার্স।

কিম জং উন গোয়েন্দা স্যাটেলাইট

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) বুধবার জানায়, উত্তর কোরিয়ার জাতীয় মহাকাশ সংস্থা গত ডিসেম্বরে দেশটির উত্তর পিয়ংয়ান প্রদেশের চোলসান এলাকায় গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ব্যাপারে চূড়ান্ত পরীক্ষা চালিয়েছিল। সে সময় জানানো হয়েছিল, ২০২৩ সালের এপ্রিলের মধ্যেই সেটি উৎক্ষেপণের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে।

কেসিএনএ আরও জানায়, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কিন্তু উৎক্ষেপণের চূড়ান্ত তারিখ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পরিদর্শন করেন

রকেটের মাধ্যমে ‘স্যাটেলাইটটি’ মহাকাশে স্থাপন করা হবে। এই স্যাটেলাইটে অনেকগুলো ক্যামেরা থাকবে। ছবি তোলার পাশাপাশি সেগুলো সঠিকভাবে পাঠানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্যাটেলাইটটি দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

গতকাল মঙ্গলবার ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পরিদর্শনের সময় কিম জং উন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্ধারিত সময়েই স্যাটেলাইট মোতায়েনের আহ্বান জানান। পাশাপাশি দেশের নজরদারি ক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন কক্ষপথে নানা ধরনের একাধিক স্যাটেলাইট স্থাপনের নির্দেশ দেন।

কিম বলেন, প্রতিকূল শক্তির সামরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে রিয়েল-টাইম তথ্য সুরক্ষিত করাই এ মুহূর্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। দক্ষিণ কোরিয়াকে আগ্রাসনের একটি উন্নত ঘাঁটি এবং যুদ্ধের অস্ত্রাগারে পরিণত করার প্রচেষ্টা হিসেবে কিম এই অঞ্চলে মার্কিন কৌশলগত সম্পদ স্থাপনের তীব্র নিন্দা করে বলেন, এ অবস্থায় উত্তর কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য এই জাতীয় স্যাটেলাইটের নিয়ন্ত্রণ থাকা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও আত্মরক্ষার বৈধ অধিকারের অন্তর্গত একটি বিষয়।

উত্তর কোরিয়া একটি নতুন সলিড-জ্বালানিভিত্তিক আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার মাত্র কয়েকদিন পর কিম গোয়েন্দা স্যাটেলাইট স্থাপনের নির্দেশ দিলেন। তিনি বলেন, যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থাপনা আও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করছে, তাই বর্তমান ও ভবিষ্যতে নিজেদের নিরাপত্তা জোরদার করার স্বার্থেই পিয়ংইয়ংয়ের উপযুক্ত শক্তিশালী সামরিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা স্বাভাবিক ব্যাপার।