মক্কা-মদিনায় ২০ লাখ, আল-আকসায় তিন লাখ মুসল্লির জমায়েত

লাইলাতুল কদর মুসলিমদের কাছে বরকতময় ও মহিমান্বিত এক রাত। পবিত্র এই রাতেই আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন নাজিল করেছেন। এই রাতটি এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, এর নামে পবিত্র কোরআনে একটি সূরাও রয়েছে। সেই সূরাতেই বলা হয়েছে, এই রাতের মর্যাদা হাজার মাসের চেয়েও বেশি। এই এক রাতের ইবাদত অন্য হাজারো মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। খবর আল জাজিরা।

বাইতুল্লাহ শরিফে মুসল্লিদের দুআ

এ দিনটির খোঁজে রাসুল (স.) রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে অনুসন্ধান চালাতে বলেছিলেন। তাই মুসলিম সম্প্রদায় এ রাতগুলোতে বিশেষ ইবাদতে শামিল হয়। তবে ২৬ রমজানের দিবাগত রাতে মাহাত্ম্য মুসলমানদের কাছে একটু ভিন্ন।

শবে কদরের এই বিশেষ মর্যাদা ও বরকত লাভের আশায় পবিত্র দুই নগরী মক্কা ও মদিনায় লাখো মুসল্লির ঢল নেমেছিল। জানা গেছে মক্কার মসজিদুল হারামে ও মদিনার মসজিদে নববিতে এ রাতে ২০ লাখের বেশি মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।

মক্কার বাইতুল্লাহ শরিফের চৌহদ্দি পেরিয়ে আশপাশের রাস্তাঘাটও মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। অন্যদিকে মদিনার মসজিদে নববিতেও লাখো মুসল্লি শবে কদরের বিশেষ ইবাদতে অংশ নেন। লাইলাতুল কদরের এ সওয়াব লাভের আশায় তারা মসজিদে জড়ো হতে থাকেন বিকেল থেকেই। প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি জানান, মক্কা থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূর পর্যন্ত নামাজের কাতার পৌঁছে যায়।

পবিত্র বাইতুল্লাহ শরিফে মুসল্লিদের সুবিধার্থে ৪ হাজার কর্মী দিন রাত বিভিন্ন সেবাকর্মে নিয়োজিত আছেন। ৭০টি ফিল্ড টিম মসজিদটি ২৪ ঘন্টা পরিষ্কার করছেন। মুসল্লিদের পরিবহনে বিশেষ যানবাহনের ব্যবস্থা আছে। এছাড়া বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের জন্য ব্যক্তিদের সেবায় এস্কেলেটরের ব্যবস্থা আছে।

আল-আকসা মসজিদে জড়ো হওয়া মুসলমান

অন্যদিকে প্রায় তিন লাখ ফিলিস্তিনি আল-আকসা মসজিদে শবে কদরের ইবাদত পালন করেছেন। ইসরয়েলি নিরাপত্তা বিধিনিষেধের মধ্যে দুই লাখ ৮০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি পশ্চিম তীর, জেরুজালেম ও ইসরায়েলের অভ্যন্তর থেকে আল আকসা মসজিদে উপস্থিত হন।