সংঘর্ষের ৪র্থ দিন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮৫

সুদানে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে তিনদিনের লড়াইয়ে ১৮৫ জন নিহত এবং ১ হাজার ৮০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটিতে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ভলকার পার্থেস সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। সুদানি জেনারেলদের মধ্যে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ ১৮ এপ্রিল, মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে প্রবেশ করেছে।

সুদানে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে তিনদিনের লড়াইয়ে ১৮৫ জন নিহত এবং ১ হাজার ৮০০ জন আহত হয়েছেন...

ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে গত শনিবার থেকে এই সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয়ে ভলকার পার্থেস সোমবার বলেছেন, এটি জটিল একটি পরিস্থিতি। এটি কোথায় গিয়ে থামবে তা বলা খুবই কঠিন।  

দুই পক্ষই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ট্যাংক, আর্টিলারি ও অন্যান্য ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে। যুদ্ধবিমানগুলো মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। বিমান বিধ্বংসী কামানের আগুন রাতের আকাশকে আলোকিত করে তুলছে।

ভিডিওর মাধ্যমে নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পার্থেস জানিয়েছেন, যুদ্ধরত পক্ষগুলো শান্তির জন্য জাতিসংঘের মধ্যস্ততা চাওয়ার বিষয়ে এখনও কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছে না। 

লড়াইয়ের জন্য উভয় পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করছে। ১৫ এপ্রিল, শনিবার সামরিক বাহিনী এবং মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বাধীন আরএসএফ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

সুদানের সামরিক বাহিনী ২০২১ সালের একটি অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্ষমতায় রয়েছে। এই অভ্যুত্থান দেশটির গণতন্ত্রের পথকে লাইনচ্যুত করেছে।

এদিকে সুদানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল আবার সম্প্রচার শুরু করেছে। টিভি চ্যানেলে সেনাবাহিনীর সমর্থনে বার্তা প্রচার করা হচ্ছে।

সেনাপ্রধান এবং সুদানের শাসক আব্দেল ফাত্তাহ আল বুরহান সিএনএনকে বলেছেন, আরএসএফ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থান এবং বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, বুরহান এবং দাগালো ২০১৯ সালে সুদানের দীর্ঘদিনের নেতা ওমর আল বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। দুই বছর পর অর্থাৎ ২০২১ সালের অক্টোবরে সামরিক অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এই দুই জেনারেল।    

বুরহান বলেছেন, তার সাবেক মিত্র রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ করেছেন এবং যদি ধরা পড়েন তবে তার বিচার করা হবে। দাগালো জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় অস্থায়ী মানবিক যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করেছে।

উল্লেখ্য, সেনাপ্রধান বুরহান এবং আরএসএফের কমান্ডার দাগলোর মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলছিল। কারা সুদানের ক্ষমতা দখল করবে তা নিয়েই মূলত দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার উভয়পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের শুরু হয়।

সূত্র: আরব নিউজ, আল জাজিরা