ইসরায়েলি কারাগারে অনশনরত খাদের আদনান মৃত্যু ঝুঁকিতে

ইসরায়েলি কারাগারে অনশনরত ফিলিস্তিনি বন্দি খাদের আদনান মারা যেতে পারেন বলে সতর্ক করে দিয়েছে প্যালেস্টিনিয়ান প্রিজনার্স ক্লাব (পিপিসি) নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বিনা বিচারে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছে আদনানকে। ফলে প্রতিবাদ হিসেবে তিনি অনশন করছেন। খবর দ্য নিউ আরব।

খাদের আদনান, একজন ফিলিস্তিনি বন্দি, এক শিশু তাকে জড়িয়ে ধরছে। ছবিটি ২০১৫ সালের

পিপিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে অনশন করছেন খাদের আদনান। বর্তমানে তিনি একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছেন। যে কোনো মুহূর্তে তিনি মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। অথচ দখলদার কর্তৃপক্ষ আজ পর্যন্ত তার দাবি মেনে নিতে অস্বীকার করছে।'

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোকে ‘খুব দেরি হওয়ার আগে’ বন্দির জীবন বাঁচাতে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে পিপিসি। এছাড়া আদনানের প্রতি ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের পূর্ণ সমর্থন এবং সংহতি দেখানোর জন্য বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

দখলকৃত পশ্চিম তীরের শহর আরাবার বাসিন্দা খাদের আদনান ইসরায়েলি কারাগারে প্রশাসনিক বন্দি অবস্থায় ৭১ দিন ধরে অনশন করছেন। ৪৪ বছর বয়সী আদনান ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের একজন সিনিয়র সদস্য। ৫ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি বাহিনী তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। অন্যায়ভাবে আটকের প্রতিবাদে অনশন ধর্মঘট করছেন তিনি।

২০০৪ সাল থেকে অন্তত ১১ বার খাদের আদনানকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তিনি ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুখপাত্র ছিলেন। তিনি প্রথম অনশন ধর্মঘট করেন ২০০৪ সালে। সে সময় তাকে গ্রেপ্তারের পর প্রশাসনিক বন্দি হিসেবে আটকে রাখার প্রতিবাদে তিনি অনশন করেছিলেন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক আটকের মত বিতর্কিত এক পন্থায় ফিলিস্তিনিদের আটক করে কারাগারে রাখে। এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত ৬ মাস কোনো অভিযোগ ছাড়াই ফিলিস্তিনিদের বন্দি করে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে ফিলিস্তিনি বন্দিরা প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে অনশন ধর্মঘট করেন।