আল আকসায় অভিযান, গাজায় বিমান হামলা

ইসরায়েলি পুলিশ আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে অভিযান চালানোর পর সেখানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফিলিস্তিনি ছিটমহল থেকে রকেট হামলার জবাবে ইসরায়েলি বিমান গাজায় হামলা চালিয়েছে। তবে এতে তাৎক্ষণিক হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ইসরায়েলি বিমান হামলার পর ধোঁয়াচ্ছন্ন গাজার আকাশ

হামাস রেডিও জানিয়েছে, বুধবার ভোরে কয়েকটি ইসরায়েলি বিমান গাজায় শরণার্থী শিবিরসহ বেশকিছু লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

খবরে বলা হচ্ছে, রমজানের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফিলিস্তিনিরা নামাজ পড়ার সময় আল আকসায় গ্যাস বোমা এবং সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে হামলা করে ইসরায়েলি সেনারা। পূর্ব জেরুজালেমে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানে হামলার পরে তারা গাজায় বিমান হামলা শুরু করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা আকসায় মুসল্লিদের মারধর করে আহত করে। এতে ব্যাপক উত্তেজনার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, ইসরায়েলি সৈন্যদের হামলার সময় মহিলা এবং শিশুরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে।

একজন বয়স্ক মহিলা মসজিদের বাইরে রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে বলেন, আমি কোরআন শরীফ পড়ছিলাম। এমন সময় তারা স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন তিনি।

মসজিদ ত্যাগ করতে বাধ্য করার সময় মুসল্লিরা ইসরায়েল বিরোধী স্লোগান দেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা মসজিদের দক্ষিণ অংশের জানালাও ভেঙে দিয়েছে।

ইসরায়েলি পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইতিকাফকারী কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে তারা গ্রেপ্তার করেছে। সরকারি ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ মসজিদে হামলা চালালে কয়েক ডজন মুসল্লি আহত হন। তারা সারারাত নামাজের জন্য কাটিয়েছিলেন।

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি সহিংসতা ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উত্তেজনা ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ বলেন, ইসরায়েল পবিত্র স্থানগুলোতে আগ্রাসন অব্যাহত রাখলে পরিস্থিতি ভয়াবহতার দিকে চলে যাবে।