ক্লাব ফুটবলের মালিকেরা সবসময়ই সাফল্য পিয়াসু। ফল এনে দিতে পারলে কোচদের ভাগ্যে জোটে পুরস্কার। অন্যথায় তিরষ্কার। এই শতাব্দীতে কথাগুলোর সার্থকতা সবচেয়ে ভালোভাবে প্রমাণ করেছে ইংলিশ ক্লাব চেলসি। মালিকায় বদল এলেও ক্লাবটি পাল্টায়নি তাদের ‘চরিত্র’।

josé mourinhoআনচেলত্তি, পটার এবং হোসে মরিনহো

২০০৩ সালে রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচ চেলসির অর্ধেক মালিকানা কিনে নেয়। ধীরে ধীরে ক্লাবের পুরো মালিকানা চলে যায় তার দখলে। তার সময়কাল থেকেই কোচদের নিয়ে খেলা শুরু হয় চেলসির। নিয়মিত বিরতি দিয়ে কোচ পরিবর্তন করতে থাকে তারা। কোচদের নিয়ে এই খেলায় সফল চেলসি।

কারণ, গত দুই দশকে সম্ভাব্য সব শিরোপাই একাধিকবার জিতেছে চেলসি। এর মধ্যে আছে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লিগ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ট্রফিও। কিন্তু সাফল্যের ধারায় ছেদ পড়লেই বলির পাঁঠা বানানো হয় কোচদের। সবশেষ সেই তালিকায় যুক্ত হলো গ্রাহাম পটারের নাম। ঘনঘন কোচ ছাঁটাইয়ের এই চর্চা চেলসি শুরু করেছিল ২০০৭ সালে।

চেলসির মালিকানা নিয়েই প্রধান কোচ হিসেবে হোসে মরিনহোকে নিয়োগ দেন আব্রামোভিচ। কিন্তু তিন বছর পর পর্তুগিজ কোচকে অব্যাহতি দেন রাশান ‘টাকার কুমীর’। এরপর কোচ আসে, কোচ যায়। শেষ পর্যন্ত ক্লাব ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে মালিক আব্রামোভিচকে। সেটি অবশ্য কোচদের বারবার বাদ দেওয়ার কারণে নয়।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জের ধরে ইংলিশ ক্লাব চেলসি বিক্রি করে দিতে হয় আব্রামোভিচকে। গত বছর ক্লাবের মালিকানা হস্তান্তর করা হয় টোড বোহলি এবং তার বন্ধুদের কাছে। কিন্তু নতুন মালিকরা এসেও ক্লাবের স্বভাবসুলভ বৈশিষ্ট্য ধরে রেখেছেন। মালিকায় আসার এক বছর পার না হতেই দুজন কোচ ছাঁটাই করে ফেলেছেন তারা!

graham potter 3টমাস টুখেল

গত বছরের সেপ্টেম্বরে জার্মান কোচ টমাস টুখেলকে সরিয়ে দেয় চেলসি। দায়িত্ব পাওয়ার সাত মাসের মধ্যে চাকরি হারালেন গ্রাহাম পটারও। প্রায় দুই দশকে ১৩তম কোচ হিসেবে চেলসির লাল কার্ড দেখলেন এই ইংরেজ। তাদের মধ্যে মরিনহো ও গাস হিডিঙ্ক দুই মেয়াদে কাজ করেছেন। এই শতাব্দীতে চেলসির কোচ হিসেবে ‘স্পেশাল ওয়ান’ খ্যাত মরিনহো-ই সবচেয়ে বেশি সময় টিকে ছিলেন। তাও আবার দুই মেয়াদে প্রায় পাঁচ বছর!

অবশ্য এই মৌসুমে ইংলিশ ফুটবলে এমনিতেও রাহুর দশা লেগেছে। মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই লিগের কোচদের মধ্যে চাকরি হারালেন ১৩ জন। সবশেষ সংযোজন পটার। মজার ব্যাপার হচ্ছে, মৌসুম শেষ হতে এখনও সময় বাকি অছে দুই মাসেরও বেশি। এর মধ্যে কে আবার কখন চাকরি হারান কে জানে!

একনজরে দেখে নেওয়া যাক চেলসিতে কোচদের আসা-যাওয়ার মিছিল:

হোসে মরিনহো: ২০০৪-০৭
আভরাহাম গ্রান্ট: ২০০৭-০৮
ফিলিপ স্কলারি: ২০০৮-০৯
গাস হিডিঙ্ক: ২০০৯-০৯
কার্লো আনচেলত্তি: ২০০৯-১১

আন্দ্রে ভিলাস-বোয়াস: ২০১১-১২
রবার্তো ডি মাত্তেও: ২০১২-১২
রাফায়েল বেনিতেজ: ২০১২-১৩
হোসে মরিনহো: ২০১৩-১৫
গাস হিডিঙ্ক: ২০১৫-১৬

অ্যান্তনিও কন্তে: ২০১৬-১৮
মাওরিসিও সারি: ২০১৮-১৯
ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড: ২০১৯-২১
টমাস টুখেল: ২০২১-২২
গ্রাহাম পটার: ২০২২-২৩

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.