জীবন সম্পর্কে মৌসুমীর উপলব্ধি, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গতকাল বুধবার অভিনেত্রী মৌসুমীর একটি সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছে। তাতে তিনি নিজের জীবনের উপলব্ধি, মৃত্যুর পরের আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে বেশকিছু কথা বলেছেন। তার এসব উপলব্ধিকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশিষ্ট ইসলামিক পন্ডিত ও কলামিস্ট শায়খ আহমাদুল্লাহ।

শায়খ আহমাদুল্লাহ

কারো নাম উল্লেখ না করে শায়খ আহমাদুল্লাহ তার পোস্টে লেখেন, অভিনয় জীবনের ৩০টি বছর পার করার পর বাংলাদেশের সুপরিচিত এক অভিনেত্রী তার ভক্ত-দর্শকদের কাছে অনুরোধ করেছেন, তাদের কাছে তার যেসব ধুমধাড়াক্কা ছবি (সিনেমা) রয়ে গেছে, অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর সবাই যেন তা ডিলিট করে দেয়। একই সাক্ষাৎকারে তিনি অনুরোধ করেছেন, তার মৃত্যুর পর লাশ যেন কেউ না দেখে। বরং দ্রুত ও গোপনে যেন তাকে দাফন করা হয়।

শায়খ আহমাদুল্লাহ পুরো বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, কয়েক বছর ধরে এদেশের সর্বসাধারণের মধ্যে দীন পালনের যে আকাঙ্ক্ষা পরিলক্ষিত হচ্ছে, অভিনেত্রীর ঘটনাটি তারই পরম্পরা।

পোস্টে তিনি লেখেন, আলোচিত এই নায়িকা স্টুডিওতে বসে ক্যামেরার সামনে যখন কথাগুলো বলছিলেন, তখন সেখানে কোনো ক্যামেরাম্যান ছিল না। এমনকি তাকে নির্জনে কথা বলার সুযোগ করে দিয়ে উপস্থাপক নিজেও বেরিয়ে গিয়েছিলেন স্টুডিও থেকে। এ সময় সাধারণত মানুষ তার গভীরে লালন করা আত্মগত বিশ্বাসগুলোই ব্যক্ত করে থাকে। অভিনেত্রীও তা-ই বলেছেন। তার এই উপলব্ধিকে আমরা স্বাগত জানাই।

আহমাদুল্লাহ বলেন, নারী স্বাধীনতার মুখরোচক স্লোগনে আত্মহারা হয়ে অনেক বোন নিজের সীমা ছেড়ে বাইরে চলে আসেন। যাকে তারা মুক্তির উজ্জ্বল দীপশিখা ভেবে উম্মত্ত হন, পরে বুঝতে পারেন, আসলে সেটা অগ্নিগহ্বর ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু সেই উপলব্ধির সময় আসতে আসতে তারা জীবনের অনেক কিছুই হারিয়ে ফেলেন। অভিনেত্রীর সাম্প্রতিক এই বক্তব্য তারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

এক পর্যায়ে তিনি অনুরোধ করেন, এমন ক্যারিয়ার গড়বেন না, যেখান থেকে ফিরে আসাটা দুর্গমগিরি কান্তার মরু পাড়ি দেওয়ার মতো কঠিন হয়ে যায়।