রমজানে ডেনমার্কে ফের কোরআন অবমাননা

ডেনমার্কে উগ্র ডানপন্থী একটি গোষ্ঠীর সদস্যরা রাজধানী কোপেনহেগেনে অবস্থিত তুর্কি দূতাবাসের সামনে কোরআনের একটি কপি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। ২৪ মার্চ, শুক্রবার ইসলামবিদ্বেষী নিকৃষ্ট এই কাজটি করা হয়েছে। গত জানুয়ারিতেও ডেনমার্কে রাসমুস পালুদান নামের এক উগ্রপন্থী ঘৃণ্য এই কাজটি করেছিল।

কোরআন

দ্য প্যাট্রিয়টস গো লাইভ নামে পরিচিত গ্রুপটির সদস্যরা শুক্রবার তুর্কি দূতাবাসের সামনে ফেসবুক লাইভে এসে কোরআনের একটি কপিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় তারা ইসলামবিদ্বেষী বিভিন্ন ব্যানারও প্রদর্শন করে। এ সময় তারা তুরস্কের পতাকাও পুড়িয়ে দেয়।

তুরস্ক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনাটিকে ঘৃণামূলক অপরাধ বলে আখ্যায়িত করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আঙ্কারা ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতার ছদ্মবেশে জঘন্য কর্মের অনুমতি দেওয়া’ মেনে নেবে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ঘৃণ্য এই কাজটি ইসলামে পবিত্র মাস হিসেবে পরিচিত রমজানে করা হয়েছে। এর ফলে এটি আবারও স্পষ্টভাবে প্রকাশ হয়েছে যে ইসলামবিদ্বেষ, জাতিবিদ্বেষ এবং বৈষম্য ইউরোপে একটি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। অতীত থেকে এসব দেশ কোনো শিক্ষা গ্রহণ করেনি।' 

জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দেওয়ার নিন্দা জানিয়েছে। এই ঘটনাটিকে ‘একটি অগ্রহণযোগ্য এবং বর্ণবাদী কাজ’ বলে অভিহিত করেছে। মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে পবিত্র রমজান মাসে এ ধরনের কর্মকাণ্ড মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত করার শামিল।

এদিকে কাতার জানিয়েছে, দ্য প্যাট্রিয়টস গো লাইভের কর্মকাণ্ড বিশ্বের দুই বিলিয়নেরও বেশি মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে এ ধরনের কাজ উসকানি ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।

এছাড়া সৌদি আরব, মরক্কোও পবিত্র রমজান মাসে ডেনমার্কে কোরআন পোড়ানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তর ইউরোপ এবং নর্ডিক দেশগুলোতে ইসলামফোবিক ব্যক্তিত্ব বা গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা কুরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। গত জানুয়ারিতে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে তুর্কি দূতাবাসের সামনে রাসমুস পালুদান কোরআন পুড়িয়েছে। একই মাসে তিনি ডেনমার্কেও একই কাজ করেন।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ, দ্য নিউ আরব