পাকিস্তানে নির্বাচন করার ‘টাকা নেই’

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে নির্বাচন করার জন্য কোনো তহবিল নেই বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেবের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এআরওয়াই নিউজ এ খবর দিয়েছে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ

পিটিআই প্রধান ইমরান খানের সমালোচনা করে খাজা আসিফ বলেন, তার (ইমরান খান) হত্যার চেষ্টার অভিযোগ মিথ্যা। তিনি প্রথমে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত কামার জাভেদ বাজওয়ার মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন এবং এখন তিনি তাকে দোষারোপ করছেন। একইভাবে তিনি ক্ষমতাচ্যুতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ইমরান খান প্রাদেশিক পরিষদগুলো অসাংবিধানিকভাবে ভেঙে দিয়েছিলেন। এজন্য তাকে সাংবিধানিকভাবে অনাস্থা ভোটে বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং এখন তিনি আদালতে হাজির হতে চান না। পিটিআই চেয়ারম্যান তার মেয়াদে পিএমএল-এন নেতাদের কারারুদ্ধ করার জন্যও দায়ী। ইমরানের আমলে তিন বছর তিনি (মন্ত্রী আসিফ) জেলে ছিলেন।

আসিফের দাবি, ইমরান খান প্রতিদিন সংকট তৈরি করছেন কিন্তু সরকার সেগুলো মোকাবেলা করছে। পাকিস্তান শিগগির সব সংকট থেকে বেরিয়ে আসবে। ইমরান খান মার্কিন ষড়যন্ত্রের একটি মিথ্যা বর্ণনা দিয়েছিলেন, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট দেশকে সাংবিধানিক সংকট থেকে বাঁচিয়েছিল।

এদিকে ইমরান খান বলেছেন, পাঞ্জাবে সাধারণ নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। আইনের শাসন জাতির মৌলিক অধিকার। সংবিধান মাফিয়ার হাতে পড়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, পাঞ্জাবে নির্বাচনের নিশ্চয়তা কে দেবে। তিনি এ ব্যাপারে বিচারকদের প্রতি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

এর আগে পিটিআই নেতা ইমরান খানকে বারবার গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়েও সফল হয়নি শাহবাজ সরকার। অনলাইনে ইমরান খানের বক্তব্য-বিবৃতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশটিতে একইসময়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অচলাবস্থা চলছে। দেশটি অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে আইএমএফের মর্জির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।