সবচেয়ে বয়স্ক ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল

ইসরায়েলি কারাগারে থাকা সবচেয়ে বয়স্ক ফিলিস্তিনি বন্দী ৮৩ বছর বয়সী ফুয়াদ শুবাকি মুক্তি পেয়েছেন। অস্ত্র চোরাচালানের জন্য ১৭ বছরের সাজা খাটার পর মুক্তি পান তিনি। ১৩ মার্চ, সোমবার প্যালিস্টিনিয়ান প্রিজনার্স ক্লাব নামের বেসরকারি একটি সংস্থা এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

৮৩ বছর বয়সী ফুয়াদ শুবাকি

প্যালিস্টিনিয়ান প্রিজনার্স ক্লাবের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ফুয়াদ শুবাকিকে ইসরায়েলের আশকেলন কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় নিজ বাড়িতে যাচ্ছেন। শুবাকির ছেলে হাজেম এই খবর নিশ্চিত করেছেন। 

শুবাকি, ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের একজন সিনিয়র সদস্য ছিলেন। ২০০২ সালে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে কারিন এ নামের একটি জাহাজে করে ইরান থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় অস্ত্র পাচারের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবী করেছিল জাহাজটিতে ৫০ টনের মতো অস্ত্র ছিল। এগুলোর মধ্যে ছিল স্বল্প পাল্লার কাতিউশা রকেট, ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া ইরান এবং লেবাননভিত্তিক সংগঠন হিজবুল্লাহর কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক দ্রব্য এনেছিলেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।

২০০২ সালে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) তাকে আটক করেছিল। এরপর তিনি মার্কিন ও ব্রিটিশ তত্ত্বাবধানে পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরের একটি কারাগারে ছিলেন।

২০০৬ সালে ইসরায়েলি বাহিনী কারাগারে হামলা করে শুবাকিকে ইসরায়েলে নিয়ে যায়। এরপর সামরিক আদালতে তার বিচার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে এই সাজা কমিয়ে ১৭ বছর করা হয়। অবশেষে ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ মুক্তি পান তিনি।

বর্তমানে ইসরায়েলের কারাগারে ৪ হাজার ৭৮০ জন ফিলিস্তিনি বন্দী রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬০টি শিশু, ২৯ জন নারী এবং ৯১৫ জন পুরুষকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটকে রেখেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। এ সময় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

সূত্র: দ্য নিউ আরব