এশিয়ায় ‘ইউক্রেনের মতো’ সংকট নিয়ে চীনের সতর্কতা
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং বলেছেন, এশিয়া অঞ্চলে ‘ইউক্রেনের মতো’ কোনো সংকটের পুনরাবৃত্তি হওয়া উচিত হবে না। এখানে কোনো স্নায়ু যুদ্ধের পুনর্জাগরণ করাও ঠিক হবে না। এশিয়াকে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার দাবাবোর্ডে পরিণত করার পরিবর্তে বরং সবার জন্য জয়-জয় সহযোগিতার মঞ্চ হিসেবে গড়ে তোলা উচিত। খবর আনাদোলু।
কিন গ্যাং
গতকাল মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। গত ডিসেম্বরে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তার আনুষ্ঠানিক প্রথম সংবাদ সম্মেলন। এতে তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে কোনো এক পক্ষের ওপর নির্ভর করার চেয়ে বরং যে কোনো সংকটের মুখে একসাথে দাঁড়ানো, যৌথভাবে নিরাপত্তা ও উন্নয়নের চেষ্টা করা এবং ভবিষ্যতে একটি ঘনিষ্ঠ সম্প্রদায় গড়ে তোলার জন্য একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।
কিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল’ আসলে একচেটিয়া ব্লক করার জন্য দল গঠনের প্রচেষ্টা, ন্যাটোর এশিয়া-প্যাসিফিক সংস্করণের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সংঘাত উস্কে দেওয়ার একটি অপচেষ্টা। এর মাধ্যমে তারা আঞ্চলিক ঐক্যকে দুর্বল করতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্রকে অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে বলেছে চীন
কিন অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে চীনকে ঘিরে ফেলা। কিন্তু যুদ্ধোত্তর আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারকে চ্যালেঞ্জ করে এমন কোনো প্রচেষ্টা চীনা জনগণ কখনোই গ্রহণ করবে না।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বহুপাক্ষিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বৃহত্তর গণতন্ত্রকে উন্নীত করব এবং বিশ্বব্যাপী শাসন ব্যবস্থাকে আরও ন্যায়সঙ্গত করার চেষ্টা চালিয়ে যাব।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সর্বশেষ অগ্রগতি প্রসঙ্গে কিন বলেন, ওই সংঘাত এখন একটি ‘সঙ্কটজনক মোড়ে’ পৌঁছেছে। এ অবস্থায় শত্রুতা বন্ধ করে শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য রাজনৈতিক মীমাংসার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। অন্যদিকে এ সংঘাতে আরও ইন্ধন দিয়ে সংকটটিকে আরও বাড়ানোও যায়।
এ সংকট চীনের দ্বারা সৃষ্ট নয় দাবি করে কিন বলেন, চীন এ সংকট সৃষ্টির জন্য দায়ী নয়। এটি কোনো পক্ষকে অস্ত্রও সরবরাহও করে না। কোনো পক্ষকে দোষারোপ বা হুমকিও দেয়নি, কোনো পক্ষকে অনুমোদনও দেয়নি। ফলে চীনকে দোষারোপ করা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। চীন সব সময় এ ইস্যুতে স্বাধীনভাবে নিজের মতামত জানাবে।
ইউক্রেন সংঘাত বৃদ্ধির পেছনে অদৃশ্য হাতকে দায়ী করে তিনি বলেন, সব পক্ষের বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগকে সম্মান করা উচিত। এটিই বরং ইউরোপে টেকসই নিরাপত্তা অর্জনের সঠিক উপায়। সংঘাত, নিষেধাজ্ঞা ও চাপ এ সমস্যার সমাধান করবে না। বরং এক্ষেত্রে প্রয়োজন শান্তি, যুক্তি ও সংলাপ। তিনি সবাইকে ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শান্তি আলোচনা’ অনুষ্ঠানে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
মস্কোর সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্কের বিষয়ে কিন বলেন, বিশ্ব যত বেশি অস্থিতিশীল হবে, চীন ও রাশিয়ার জন্য তাদের সম্পর্ককে স্থিরভাবে এগিয়ে নেওয়া তত বেশি জরুরি হয়ে উঠবে।
তাইওয়ান প্রশ্নে ভুল আচরণ চীন-মার্কিন সম্পর্কের ভিত্তিকে নাড়িয়ে দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীনা জনগণের জিজ্ঞাসা করার অধিকার রয়েছে- তাইওয়ানের প্রশ্নে চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে অসম্মান করা যুক্তরাষ্ট্র কেন ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করার বিষয়ে এত দীর্ঘ কথা বলে?
কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে আরও বলেন, তাইওয়ান হল চীন-মার্কিন সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তি এবং প্রথম লাল রেখা, যা অতিক্রম করা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উচিত হবে না।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.