এমবাপ্পে: আমি ইতিহাস গড়তেই খেলি

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচকে সামনে রেখে ভালোই ছন্দে আছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। শনিবার রাতে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে ক্রিস্টোফ গালতিয়েরের দল। পিএসজির এবারের জয়টি এসেছে নঁতের বিপক্ষে। ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে পিএসজি জিতেছে ৪-২ গোলে।

এডিনসন কাভানিকে টপকে পিএসজির সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন কিলিয়ান এমবাপ্পে

১২ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন মেসি। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে গোল উৎসবের ইতি টানেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। গোল করে মেসি ছুঁয়েছেন দারুণ এক মাইলফলক। ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারে এক হাজার গোলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রাখলেন তিনি। আর এমবাপ্পে গড়েছেন দারুণ এক কীর্তি।

পিএসজির সর্বোচ্চ গোলদাতা উরুগুয়েন স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানিকে টপকে গেলেন ফরাসি সেনসেশন। প্যারিসিয়ানদের হয়ে ২০১টি গোল করেছেন এমবাপ্পে। এক গোল কম নিয়ে দুইয়ে নেমে গেলেন কাভানি। তিনে থাকা সুইডিশ কিংবদন্তি জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ ১৫৬টি গোল করেছিলেন। চারে থাকা নেইমার জুনিয়রের গোল ১১৮টি।

আগামী ডিসেম্বরে ২৪ বছর পূরণ করবেন এমবাপ্পে। পিএসজিতে থেকে গেলে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনটি তিনি কতটা উচ্চতায় নিয়ে যাবেন সেটি অবশ্য এখনই বলা মুশকিল। কার্যত এখনই ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন তিনি। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমে এমবাপ্পে সগৌরবে বলেছেন, ‘আমি ইতিহাস গড়তেই খেলি।’

২০১৭ সালে এএস মোনাকো থেকে ধারে পিএসজিতে খেলতে আসেন এমবাপ্পে। পরে রেকর্ড (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ) চুক্তিতে ১৮০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে পাকাপাকিভাবে তাকে কিনে নেয় প্যারিসিয়ানরা। এখানে আসার দিনই পণ করেছিলেন এমবাপ্পে, বলেছেন, ‘আমি সবসময়ই বলেছি, আমি ফ্রান্সে ইতিহাস গড়তে চাই। সেটা আমার রাজধানী, আমার দেশ এবং আমি যেখানেই খেলি।’

এমবাপ্পে বলেন, ‘এটা (পিএসজির সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া) দুর্দান্ত। কিন্তু এখনও অনেক কিছু করা বাকি আছে। আমার কাছে, একজন প্যারিসিয়ান হিসেবে এটা বিশেষ কিছু। কেউ যদি আমাকে বলতো আমি গোলের রেকর্ড গড়ব, (পিএসজির) অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরব তাহলে আমি সেটা বিশ্বাস করতাম না।’

আন্তর্জাতিক ফুটবল ও জাতীয় দলে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছেন এমবাপ্পে। ২০১৮ সালে পেয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ। রাশিয়ার মহাযজ্ঞে সেরা তরুণ খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। গত ডিসেম্বরে শেষ হওয়া কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে ফাইনালে নিয়ে যান এমবাপ্পে। দলকে এবার শিরোপা এনে দিতে না পারলেও ব্যক্তিগতভাবে এমবাপ্পে জেতেন গোল্ডেন বুট।

সেই তুলনায় ক্লাব ফুটবলের সেরা সাফল্য এখনও মেলেনি এমবাপ্পের। জিততে পারেননি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। ফিফা বর্ষসেরা, উয়েফা বর্ষসেরা কিংবা ব্যালন ডি’অর জয়ের স্বাদও পাননি তিনি। তবে এসব সাফল্য পাওয়া এমবাপ্পের জন্য যে কেবল সময়ের ব্যাপার সেটি মোটামুটি নিশ্চিত। কারণ মেসি-রোনালদো যুগ পরবর্তী সবচেয়ে বড় সুপারস্টার যে তিনিই!