আপনি পড়ছেন

ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার মন্ত্রী, প্রাদেশিক গভর্নরদের বিরুদ্ধে নানারকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও সমমনা বিভিন্ন দেশ। ৮৯টি প্রদেশের প্রধানদের মধ্যে কেবলমাত্র ইহুদী স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের গভর্নর রসটিস্লাভ গোল্ডস্টাইন কোনো নিষেধাজ্ঞায় পড়েননি। ইহুদী হবার কারণেই তিনি নিষেধাজ্ঞা থেকে বাদ পড়েছেন, এমন কথা উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে বিব্রত গোল্ডস্টাইন নিজেও। নিষেধাজ্ঞার দাবিতে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে মামলার হুমকি দিয়েছেন তিনি। খবর তাস, রাই নিউজ।

russia rostislav goldsteinরাশিয়ার ৮৯ জন আঞ্চলিক গভর্নরের মধ্যে একমাত্র রসটিস্লাভ গোল্ডস্টাইনের নাম নিষেধাজ্ঞায় আসেনি

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারগুলোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে। এর মধ্যে চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রধান রমজান কাদিরভ ২০৪টি নিষেধাজ্ঞা পেয়ে গত অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই সর্বাধিক নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত রুশ নাগরিকের স্বীকৃতি অর্জন করেছেন বলে বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে।

গত বছরের ২৬ জুলাই ব্রিটিশ সরকার ২৯ জন প্রাদেশিক গভর্নরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। এরমধ্যে তিউমেন প্রদেশের গভর্নর আলেক্সান্ডার মুর, ব্রায়ানস্কের আলেক্সান্ডার বোগোমাজ, কুরস্কের রোমান স্তারোভয়েত, নিঝনি নভোগরোদের গ্লেব নিকিতিন, জেবেরদলোভস্কের ইয়েভগেনি কিউভাশেভ, শেলিয়াবিনস্কের আলেক্সি টেক্সলার, সামারার দিমিত্রি আজারভ, বাশকরতোস্তানের রাদি ফরিদোভিচ খবিরভ, শুভাষ প্রজাতন্ত্রের ওলেগ নিকোলায়েভ, ক্রাসনোয়ারস্ক ক্রায়ার গভর্নর আলেক্সান্ডার উস, নভোসিবিরস্কের আন্দ্রেই ত্রাবনিকভ, সারাটোভের রোমান বুসারগিন, ভ্লাদিমির প্রদেশের গভর্নর আলেক্সান্দর আবদিয়িভ, ওরেনবার্গের ডেনিস পাসলার, ভোলগোগ্রাদের আন্দ্রেই বোখারভের নাম আসে।

একইভাবে, লেনিনগ্রাদের আলেকসান্দর দ্রোজদেঙ্কো, তোমবভের ম্যাক্সিম ইয়েগোরভ, ভোলগোদার ওলেগ কুভশিনিকভ, কোমি প্রজাতন্ত্রের ভ্লাদিমির উইবা, কালুগা প্রদেশের ভ্লাদিস্লাভ শাপসা, স্তাভরোপল ক্রায়ার ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরভ, সাখা প্রজাতন্ত্রের আইসেন নিকোলায়েভ, ভোরোনেঝের আলেক্সান্ডার গুসেভ, আমুরের গভর্নর ভাসিলি ওরলভ, ইয়ামালো-নেতেৎজের দিমিত্রি আরতিউকভ, লিপেতস্কের ইগর আরতামোনভ, আলতাই ক্রায়ার ভিক্টর টোমেঙ্কো, সেভাস্তপোলের মিখাইল রাজবোজায়েভ ও মস্কো অঞ্চলের গভর্নর আন্দ্রেই বোরোবিয়ভকেও নিষেধাজ্ঞাভুক্ত করে ব্রিটেন।

আরখানগেলস্কের গভর্নর আলেকসান্দর জাইবুলস্কির বিরুদ্ধে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় গত ৩০ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিউজিল্যান্ড, ইউক্রেন, অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বেলগোরদের গভর্নর ভ্যাচেস্লাভ গ্লাদকভের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের। আস্ত্রাখানের গভর্নর ইগর বাবুশকিনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের। চুকোটকার গভর্নর রোমান কোপিনের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

সেইন্ট পিটার্সবার্গের গভর্নর আলেক্সান্ডার বেগলভের বিরুদ্ধে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও ইইউর নিষেধাজ্ঞা। কালিনিনগ্রাদের গভর্নর আন্তন আলিখানভের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ইরকুতস্কের গভর্নর ইগর ইভানোভিচ কোবজেভের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও অস্ট্রেলিয়া। ইভানভো প্রদেশের গভর্নর ভ্লাদিস্লাভ তিকোমিরভের বিরুদ্ধে মার্কিন, ইইউ ও জাপান সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

এরপর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৪৭ জন গভর্নরের বিরুদ্ধে আরেক দফা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, এবারে কাবারদিনো-বালকারিয়ার প্রধান কাজবেক কোকভ, দাগেস্তানের সের্গেই মেলিকভ, উদমুরতিয়ার আলেকসান্দর ব্রেশালভ, ওমস্কের আলেকসান্দর বুরকভ, আস্ত্রাখানের ইগর বাবুশকিন, ইয়ামালো-নেতেৎজের দিমিত্রি আরতিউকভ, সারাটোভের রোমান বুসারগিন, মুরমুনস্কের আন্দ্রেই শিভিস, খাবারোভস্কের মিখাইল দেগতিয়ারেভ, ইয়ারোস্লাভের মিখাইল ইয়ারেভ, ইঙ্গুশেটিয়ার মাহমুদ-আলী মাকশরিফোভিচ কালিমাতভ, কালমিকিয়ার বাতু খাসিকভ, আলতাই প্রজাতন্ত্রের ওলেগ খোরোখোরদিন, তুভার ভ্লাদিস্লাভ খোবালিগের নাম নিষেধাজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

একইসঙ্গে, ওরেলের গভর্নর আন্দ্রেই ক্লিশকভ, ইরকুতস্কের ইগর কোবজেভ, খানতি-মানসীর নাতালিয়া কোমারোভা, ক্রাসনোভার ভেনিয়ামিন কোনদ্রাতিয়েভ, খাকাসিয়ার ভ্যালেন্তিন কোনোভালোভ, চুকোটকার রোমান কোপিন, প্রিমোরিয়ের ওলেগ কোঝেমিয়েকো, আদিগিয়ার মুরাত কুমপিলভ, সাখালিনের ভ্যালেরি লিমারেঙ্কো, পার্ম টেরিটোরির দিমিত্রি মাখোনিন, রিয়াজানের গভর্নর পাভেল মালকভ, টোমস্কের ভ্লাদিমির মাজুর, পেনজার ওলেগ মেলনিশেঙ্কো, নিঝনি নভোগরোদের গ্লেব নিকিতিন, মাগাদানের সের্গেই নসভ, আমুরের ভাসিলি ওরলভ, ট্রান্স-বৈকালের আলেক্সান্ডার ওসিপভকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়।

কারেলিয়ার গভর্নর আর্তুর পারফেনশিকভ, টেভরের ইগর রুডেনিয়া, উলিয়ানোভস্কের আলেক্সি রুসকিখ, কালুগার ভ্লাদিমির শাপসা, কুরগানের ভাদিম শুমকভ, কোসট্রমার সের্গেই সিটনিকভ, কিরভের আলেক্সান্ডার সোকোলভ, কামচাটকার ভ্লাদিমির সোলোদভ, কারাশায়েভো-সিরকেসিয়ার রশিদ তামরিজভ, কেমোরোভোর সের্গেই সিবিলেভ, আরখানগেলস্কের আলেকসান্দর জাইবুলস্কি, বুরিয়াটিয়ার আলেক্সি জাইদেনভ, পেসকভের মিখাইল ভেডেরনিকভ, ইভানভোর স্তানিস্লাভ ভোসকেরেসিনস্কি, মেরি আই প্রজাতন্ত্রের ইউরি জাইতসেভ ও মোরদোভিয়ার আরতেম জেদুনভের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা এলেও তাতে নিজের নাম না থাকায় প্রশ্নের মুখে পড়েছেন জিউয়িশ অটোনোমাস রিজিয়নের গভর্নর সরটিস্লাভ গোল্ডস্টাইন। বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে ইতালির রাই নিউজকে তিনি বলেছেন, ‘ওই শয়তানদের জন্য আমি মনোযাতনায় ভুগছি। এভাবে সবার ভিড়ে একমাত্র ভালো হয়ে থাকার কোনো অর্থ নেই। ৮৮ জন সহকর্মীর পাশাপাশি আমার নামও নিষেধাজ্ঞার খাতায় ওঠাতে স্ট্রাসবুর্গের ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে মামলা করবো।’

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.