মেসি চলে গেলেও পিএসজিতে থাকবেন নেইমার!

খেলোয়াড়ি জীবনের বাইরেও তারা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ২০২১ সালে লিওনেল মেসি যখন পিএসজিতে চুক্তিবদ্ধ হন, তখন খুব সম্ভবত বেশি খুশি হয়েছিলেন বন্ধু নেইমার। এক সঙ্গে পিএসজিতে প্রায় দুইটা মৌসুম শেষ করার পথে তারা। এবার বোধহয় পার্ক দেস প্রিন্সেসে তাদের আলাদা হওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে। কারণ দুজনের পথ আজ যে দুদিকে!

নেইমার জুনিয়র এবং লিওনেল মেসি

না, তাদের বন্ধুত্বে কাটা পড়েনি। তবে ক্লাবের পক্ষ থেকে চাওয়া দুজনকে নিয়ে দুই রকম। আবার মেসি এবং নেইমারের চাওয়াও ভিন্ন রকম। আর্জেন্টাইন তারকাকে নিয়ে যেমন পিএসজির আগ্রহের শেষ নেই, অন্যদিকে নেইমারকে বিদায় করতে পারলে যেন বাঁচে ফ্রান্সের ক্লাবটি।

অথচ ২০১৭ সালে রেকর্ড গড়ে ট্রান্সফার ফি-তে (২২২ মিলিয়ন ইউরো) নেইমারকে বার্সেলোনা থেকে দলে ভিড়িয়েছিল পিএসজি। দশ বছরের সে চুক্তিতে ছেদ পরে অবশ্য পাঁচ বছর যেতেই। এর পেছনে শক্ত কারণ আছে বেশ কয়েকটি। একটি হতে পারে দলটির ফ্রান্স স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। শোনা গেছে তার সঙ্গে সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না নেইমারের।

এর বাইরে নতুন কারণ যুক্ত হয়েছে সম্প্রতি নেইমারের আচরণ। ক’দিন আগে লিগের একটি ম্যাচে সতীর্থদের বকা দিয়ে সমালোচিত হন তিনি। এরপর ম্যাচ শেষেও তর্কে জড়ান ক্লাবের এক কর্মকর্তার সঙ্গে। তারপরই খবর বেরিয়েছিল তাকে বিক্রি করে দেবে পিএসজি।

ইতোমধ্যে ক্লাবটি নেইমারের নাম দলবদল বাজারে তোলার জন্য তার মতামত চেয়েছে। সেখানে অবশ্য নেইমার বলেছেন তিনি থাকতে চান ফ্রান্সের ক্লাবটিতেই। ফ্রান্সের সংবাদ মাধ্যম এলইকুইপে সম্প্রতি খবর প্রকাশ করেছে যে, এতকিছু সত্ত্বেও ব্রাজিলিয়ান ফরওয়ার্ড আশা ব্যক্ত করেছেন পিএসজিতে থাকার।

এদিকে ক্রিস্টোফা গালতিয়ের দলে দুবছরের চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে মেসির। সামনের গ্রীষ্মে হয়ত ফ্রি এজেন্টে তিনি যেতে চান নতুন কোনো ঠিকানায়। কারণ দুই পক্ষের কয়েক দফা আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি এখনও। তাই ধারণা করা হচ্ছে মেসি হয়ত থাকতে চাননা পিএসজিতে!

তাই সামনের গ্রীষ্মেই দুজনের পথ দুদিকে হওয়ার আশঙ্কাটা উড়িয়ে দেয়া যায় না।