‘ঘরের ছেলে’তেই সর্বনাশ পিএসজির

২০২০ সালে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের রুপালি ট্রফিটা হাতছোঁয়া দূরত্বে রেখে এসেছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে স্বপ্নটা জমা দিতে হয়েছে ফরাসি ক্লাবটিকে। দ্বিতীয়ার্ধে কিংসলে কোম্যানের একমাত্র ও জয়সূচক গোলে কপাল পোড়ে প্যারিসিয়ানদের।

কিংসলে কোম্যান

কোম্যানকে এতো সহজে ভুলে যাওয়ার কথা নয় ফুটবলপ্রেমীদের। একটা সময় তিনি পিএসজিরই ঘরের ছেলে ছিলেন! কাকতালীয়ভাবে আবারও পিএসজির সর্বনাশ করলেন সেই কোম্যানই। মঙ্গলবার রাতে প্যারিসে প্রথম লেগের ম্যাচটা বায়ার্ন মিউনিখ জিতেছে ফরাসি এই ফরওয়ার্ডের গোলের ওপর দাঁড়িয়েই!

১-০ গোলের এই হারে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার রাস্তাটা কঠিন করে ফেললেন লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমার জুনিয়ররা। স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে ফিরতি লেগে দারুণ কিছুই করতে হবে তাদের। আগামী ৮ মার্চ বায়ার্ন মিউনিখের দুর্গ অ্যালিয়েঞ্জ এরিনায় অনুষ্ঠিত হবে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ।

পিএসজিকে এমনই কঠিন বিপদে ফেলেছেন সাবেক খেলোয়াড় কোম্যান। বয়স ভিত্তিক ফুটবলে প্যারিসিয়ানদের জার্সিতে ৯ বছর খেলেছিলেন ফরাসি ফরওয়ার্ড। ২০১৩ সালে পিএসজির মূল দলেও অভিষেক হয়ে যায় তার। পরের বছরই কোম্যানকে জুভেন্টাসের কাছে বিক্রি করে দেয় ফরাসি জায়ান্টরা।

সেটাই ভুল ছিল। এবং আজও সেই ভুলের মাসুল দিয়ে যাচ্ছে পিএসজি। জুভেন্টাসে অবশ্য অর্ধেক মৌসুম কেটেছিল কোম্যানের। ২০১৫ সালেই তাকে ধারে খেলতে বায়ার্ন মিউনিখে পাঠিয়ে দেয় ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাস। এরপর ২০১৭ সালে কোম্যানকে পাকাপাকিভাবে কিনে নেয় বায়ার্ন। কেন তাকে বাভারিয়ানরা রেখে দিয়েছে প্রায় অর্ধ যুগ ধরেই বুঝিয়ে চলেছেন তিনি।

পিএসজিকে চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা যে দুটি ম্যাচে হারিয়েছে দুটিই ২৬ বছর বয়সী কোম্যানের গোলের সুবাদে। তবে পুরোনো ক্লাব ছেড়ে গেলেও পিএসজির প্রতি সম্মান কমেনি কোম্যানের। গতকাল পিএসজির জালে বল পাঠানোর পর নিজেকে উদযাপন থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন তিনি। ২০২০ সালের ফাইনালেও তার বিনয় ফুটে উঠেছিল।