ষষ্ঠবার নেইমার জুনিয়র

আবারও সাম্বা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড জিতলেন নেইমার জুনিয়র। এ নিয়ে রেকর্ড (সর্বোচ্চ) ষষ্ঠবার এই পুরস্কার জিতলেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের ইউরোপিয়ান লিগে পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে প্রতি বছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে।

সাম্বা গোল্ড পুরস্কারকে একপ্রকার পৈত্রিক সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছেন নেইমার

ব্রাজিলের সাংবাদিক, ফুটবলার এবং সাম্বাফুট অনলাইন পাঠকদের ভোটে জয়ী খেলোয়াড়কে নির্বাচন করা হয়। সবশেষ দুই বছরও পুরস্কারটা পেয়েছেন নেইমার। এবার হ্যাটট্রিক পূরণ করলেন তিনি। ২০২২ সালের সেরার খেতাবও উঠল তার হাতে। এই লড়াইয়ে পিএসজি সুপারস্টার পেছনে ফেলেছেন জাতীয় দলের সতীর্থদের।

রিয়াল মাদ্রিদের দুই ফরওয়ার্ড ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও রদ্রিগো, লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেটেডের দুই মিডফিল্ডার কাসেমিরো (ডিফেন্সিভ) ও অ্যান্তনিওকে (অ্যাটাকিং) হারিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অটুট রাখলেন নেইমার। সোমবার রাতেই ট্রফি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি পোস্ট করেছেন তিনি।

মহাতারকা পেলের সঙ্গে যৌথভাবে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার জুনিয়র

এই ট্রফি জয়ে অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকারের পেছেন আছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা। সাম্বা ট্রফি জয়ে প্রথমবার তিনিই হ্যাটট্রিক করেছিলেন। ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত টানা তিনবার চেলসি ডিফেন্ডারের মাথায় উঠেছিল সেরার মুকুট। এবার অবশ্য লড়াইয়ে থাকতে পারলেন না অভিজ্ঞ এই রক্ষণপ্রহরী।

গত রোববার ৩১ বছর পূরণ করেন নেইমার। চোট নিয়ে মাঠের বাইরে থাকলেও তার জন্মদিন উদযাপন হয়েছে  জাঁকজমকভাবেই। তার এই বার্থডে পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন ছেলে, বন্ধু-বান্ধব, বর্তমান এবং প্রাক্তন বান্ধবীরাও। প্যারিসে বন্ধুর জন্মদিন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন লিওনেল মেসিও। সাম্বা গোল্ড ট্রফি তার আনন্দের সময়টা আরও বাড়িয়ে দিলো।

২০১০ সালে ব্রাজিলের জার্সিতে অভিষেক হয় নেইমারের। দেশের জার্সিতে মহাতারকা পেলের সঙ্গে তিনি যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা। ক্লাব ফুটবলে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্টোস ও স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনায় সমান চার বছর করে সময় কাটিয়েছেন এই স্ট্রাইকার। ২০১৭ সালে দলবদলের চুক্তির বিশ্বরেকর্ড গড়ে পিএসজিতে যোগ দেন তিনি।