যা দেখে এখনও আতঙ্কে জমে যান মেসি!

বিশ্বকাপ জিতেছেন দেড় মাস হয়ে গেছে মেসিদের। কিন্তু একটি বিষয় নিয়ে এখনও আতঙ্কে জমে যান মেসি। অবশ্য যখনকার ঘটনা তখন নাকি তিনি টেরই পাননি। বুঝতে পারেননি ঘটনার গুরুত্ব। ফাইনালের এক চরম মুহূর্তে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ যেভাবে দলকে বাঁচিয়েছিলেন সে সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক এসব কথা বলেন।

মুয়ানির শর্ট ফিরিয়ে দিচ্ছেন মার্তিনেজ

আর্জেন্টিনার পত্রিকা ‘ওলে’কে দেওয়া দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকারে মার্তিনেজের সেই কৃতিত্ব নিয়ে কথা বলেন লিওনেল মেসি। তিনি জানান, ফাইনালে যে মুহূর্তে সে ঘটনা ঘটেছিল, সে মুহূর্তে তিনি বিষয়টি তেমনভাবে বুঝতে পারেননি। ম্যাচে তখন এমনিতেই উত্তেজনা চলছিল। ফলে তিনি সে সময় বুঝতেই পারেননি, মার্তিনেজ কত বড় বিপদ থেকে দলকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। তবে পরে যখন ওই সেভের ভিডিও দেখেন আতঙ্কে জমে যান তিনি।

কাতার বিশ্বকাপের শেষ মুহূর্তে ঘটনা সেটি। দুই দলের স্কোরলাইন তখন বরাবর, ৩-৩। শক্তিশালী দুই দলের লড়াই তখন নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে টাইব্রেকারের পথে। যে কোনো মুহূর্তে বাজতে পারে রেফারির বাঁশি। এমন সময় হঠাৎই আর্জেন্টাইন বক্সের সামনে গোলকিপার মার্তিনেজকে একা পেয়ে যান ফ্রান্সের মুয়ানি। কোনোভাবে মার্তিনেজকে পার করে বল জালে ঠেলে দিলেই ফ্রান্স আরেকবার বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে যাবে, এমনই ছিল পরিস্থিতি। তবে মার্তিনেজ সে সময় অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দেন মুয়ানির শর্টটি। অনেকেই সেটাকে ‘বিশ্বকাপের সেরা সেভ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

মুয়ানির সাথে মেসির খুনসুটি

ওই সময় মেসির অনুভূতি কেমন ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুরো ব্যাপারটি এত দ্রুত ঘটে যায় যে, ওই মুহূর্তে সেটা নিয়ে বেশি কিছু ভাবার সুযোগ হয়নি। বরং ওই সেভের পরের মুহূর্তেই আমরা পাল্টা আক্রমণে ব্যস্ত হয়ে উঠি। তবে পরে যখন খেলাটির ভিডিও দেখেছি, মার্তিনেজের সেভটি দেখে বেশি আতঙ্কিত হয়েছি। তখন মাথায় ঢুকেছে, মার্তিনেজের সেভ কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

প্রথম ম্যাচটা বাদ দিলে পুরো বিশ্বকাপেই ভালো খেলেছেন মেসিরা। তবে এর মধ্যে মার্তিনেজ নিজেকে আলাদা করে চিনিয়েছেন ভালোভাবেই। ফিজিক্যালি লড়াইয়ের পাশাপাশি মেন্টাল তথা মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে পরাভূত করেছেন বিপক্ষের খেলোয়াড়দের। তাদের করেছেন গোলবঞ্চিত। এর পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার গোল্ডেন গ্লাভস পেয়েছেন মার্তিনেজ।