পাঁচ ফুটবলারকে নিয়ে ফ্রান্স কোচের অভিযোগ

দিদিয়ের দেশামের নেতৃত্বে ১৯৯৮ সালে স্বপ্নের বিশ্বকাপ জিতেছিল ফ্রান্স। তার কোচিংয়েই ২০১৮ সালে দ্বিতীয় ট্রফি জেতে ফরাসিরা। কিছুদিন আগে শেষ হওয়া কাতার বিশ্বকাপেও শিরোপার খুব কাছে ছিল দেশামের দল। কিন্তু মহানাটকীয় ফাইনালে টাইব্রেকে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের।

দিদিয়ের দেশাম

দল শিরোপা ধরে রাখতে না পারলেও প্রধান কোচ দেশামের পারফরম্যান্সে ভীষণ খুশি ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএফ)। নিয়মিত কোচের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছে তারা। নতুন চুক্তি অনুসারে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ফ্রান্স দলের প্রধান কোচ হিসেবেই থাকবেন দেশাম।

বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এতোদিন নীরব ছিলেন দেশাম। চুক্তি নবায়নের পর অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। ফ্রান্স কোচ নীরাবতা ভেঙেছেন পাঁচজন ফুটবলারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে। তার দাবি, দোহার ফাইনালে কিছু ফুটবলার লড়াকু মেজাজে ছিলেন না। বিশেষ করে ম্যাচের প্রথমার্ধে।

ফাইনাল হারের তিন সপ্তাহ পর রোববার রাতে সংবাদমাধ্যমকে দেশাম বলেছেন, ‘পাঁচজন ফুটবলার ফাইনালে তারা তাদের কাজ ঠিকঠাক করেননি। আমি সমস্যাটিকে অন্য একজন খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি দায়ী করতে চাচ্ছি না। শুরুর একাদশে পাঁচজন খেলোয়াড় ছিলেন, বিভিন্ন কারণে তারা এ ধরনের ম্যাচের পর্যায়ে ছিলেন না।’

দেশামের কথায় সরাসরি খেলোয়াড়দের নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ফাইনালের প্রথমার্ধে সাধারণ দর্শকরাও ফ্রান্সের পারফরম্যান্স দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন। ৭০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচের নাটাই ছিল আর্জেন্টিনার হাতে। দুই গোলে পিছিয়ে থাকলেও শেষ দিকে কিলিয়ান এমবাপ্পের অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের সুবাদে সমতায় ফেরে ফ্রান্স (২-২)।

ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। সেখানেও ফের লিড নেয় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের শেষে দিকে ফরাসিদের সমতায় ফেরান সেই এমবাপ্পেই। মহানাটকীয় ফাইনাল গড়ায় টাইব্রেকে। যেখানে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বীরত্বে ৪-২ গোলে জিতে বাজিমাত করে ল্যাটিন আমেরিকান জায়ান্টরা, আর্জেন্টাইনরা জেতে স্বপ্নের তৃতীয় শিরোপা।

দুঃস্বপ্নের সেই ম্যাচের বাস্তবতা নতুন করে তুলে ধরেছেন দেশাম। তার ভাষায়, ‘আমি শক্ত কোনো শব্দ ব্যবহার করতে চাচ্ছি না। কিন্তু এটুকু বলতে হচ্ছে যে, আমাদের জন্য একটা ঘণ্টা ভালো কাটেনি। আমরা শূন্য থেকে ফিরে এসেছি। আমাদের যা করণীয় ছিল আমরা সেটাই করেছি। কারণ এটি (খেলার) একটি অংশ ছিল, এটা একটা ম্যাচ ছিল না।’

অভিযোগ তোলা সেই পাঁচজন ফুটবলারের নাম প্রকাশে অনীহা দেখিয়েছেন দেশাম। ধারণা করা হচ্ছে, অভিযুক্ত ফুটবলারদের তালিকায় আছেন অলিভার জিরার্ড ও উসমান ডেম্বেলে। প্রথমার্ধের খেলা শেষে দুজনের একজনকেও মাঠে নামাননি ফ্রান্স কোচ দেশাম।