অবশেষে ‘turkiye’ ব্যবহার করতে সম্মত যুক্তরাষ্ট্র

তুরস্কের নতুন নাম টার্কিয়ে (turkiye)। আগে লেখা হতো টার্কি (turkey)। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ২০২১ সালের জুলাই মাসে দেশটির নামের বানানে পরিবর্তন আনেন। তার বক্তব্য, টার্কিয়ে শব্দ তুরস্ককে বেশি সমৃদ্ধভাবে উপস্থাপন করে। টার্কিয়ে শব্দটি জাতি-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রোথিত। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

তুরস্কের পতাকা

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও জানিয়েছে, তারা এখন থেকে টার্কিয়ে শব্দটি লিখবে। তুর্কি সরকারের অনুরোধে রাজি হয়ে তারা কাগজপত্র বা ডকুমেন্টে টার্কিয়ে শব্দটিকেই প্রাধান্য দেবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে সশস্ত্র গোষ্ঠী আইএসের অর্থ যোগানদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয়। ওই বিবৃতিতে দেশটি তুরস্ককের নামের বানানে টার্কিয়ে শব্দটি ব্যবহার করেছে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, তুর্কি দূতাবাস অনুরোধ করেছে- আমরা যেন রাষ্ট্রীয় সব কাগজপত্রে টার্কিয়ে বানানটি ব্যবহার করি। আমরা তাতে সম্মত হয়েছি এবং ইতোমধ্যে ব্যবহার শুরু হয়েছে।

নেড প্রাইস বলেন, এখন থেকে পররাষ্ট্র দপ্তর কূটনৈতিক বক্তব্য-বিবৃতি কিংবা গণযোগাযোগের ক্ষেত্রে টার্কিয়ে শব্দটি ব্যবহার করবে। এর আগে পেন্টাগন মাঝে মাঝে শব্দটি ব্যবহারও করেছে, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে নয়। গত আগস্টে ন্যাটো ও পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি যৌথ বিবৃতিতে টার্কিয়ে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ল্যাটি স্ক্রিপ্ত ব্যবহার করে টার্কিয়ে নামটি ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়ার পর তুরস্কে এর শতভাগ ব্যবহার হচ্ছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, টার্কিয়ে শব্দটি তুর্কি জাতির সংস্কৃতি, সভ্যতা এবং মূল্যবোধকে সবেচেয়ে ভালোভাবে উপস্থাপন ও প্রকাশ করে।

শুরু থেকেই ইংরেজি ভাষাভাষী দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত ও নিউজিল্যান্ড আঙ্কারায় তাদের দূতাবাসের ওয়েসাইটে টার্কিয়ে শব্দ লিখে আসছে। তবে ব্রিটিশ, আইরিশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার দূতাবাসগুলো টার্কি ব্যবহার করে। সরকারি নথিপত্রে একটি দেশের নাম পরিবর্তন করা অতটা সহজ নয়, যতটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা যায়।

এর আগে অনেক দেশ নাম পরিবর্তন করেছে। যেমন- হল্যান্ড এখন নেদারল্যান্ড, মেসিডোনিয়া এখন উত্তর মেসিডোনিয়া, পারস্য এখন ইরান। এরকম ঘটনা ১১টি দেশের ক্ষেত্রে গত কয়েক দশকে ঘটেছে।