এরদোয়ান: পশ্চিমাদের উসকানির কারণে যুদ্ধবিরতি সম্ভব হচ্ছে না

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মনে করেন, পশ্চিমাদের উসকানির কারণে যুদ্ধবিরতির পরিবেশ তৈরির পথ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা কৃষ্ণসাগরে শস্যচুক্তিতে মধ্যস্থতা করে সফল হয়েছি, কিন্তু যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে তা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গতকাল রোববার তিনি তুরস্কের পূর্ব এরজুরুম প্রদেশে একটি অনুষ্ঠানে দেওযা বক্তব্যে এসব কথা বলেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

এরদোয়ান

এরদোয়ান বলেন, দুর্ভাগ্যবশত পশ্চিমারা উসকানি বাড়িয়েই চলেছে। এই কারণে তুরস্ক যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতায় সফল হচ্ছে না। তবে শস্যচুক্তির মতোই তুরস্ক যুদ্ধবিরতিতে সফল হতে চায়। এজন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেন থেকে রপ্তানি শস্যের প্রায় ৪৪ শতাংশ গেছে ইউরোপে, যেখানে তুরস্ক পেয়েছে মাত্র ১৬ শতাংশ এবং আফ্রিকান দেশগুলো পেয়েছে ১৪ শতাংশ। রাশিয়ান শস্য থেকে বিনামূল্যে আটা তৈরি করা হবে। রাশিয়া ও জাতিসংঘের সাথে প্রয়োজনে আটাগুলো আফ্রিকার ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য পাঠানো হবে।

গত জুলাই মাসে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শস্যচুক্তি সম্পাদিত হয়। এই চুক্তিটি এরদোয়ানের মধ্যস্থতায় সফলতা পায়। সাথে জাতিসংঘের মহাসচিব সহযোগিতা করেন। এরপর থেকে বিশ্বে খাদ্য সংকট কিছুটা হলেও কমে আসে। তবে যুদ্ধবিরতির চেষ্টায় এরদোয়ান এখনও সফলতার মুখ দেখতে পারেননি।

সম্প্রতি তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে বলেন, পশ্চিমাদের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলবে আঙ্কারা। কারণ পশ্চিমারার যুদ্ধ জিইয়ে রাখতে চাচ্ছে। আর এখন এরদোয়ান সেই আশঙ্কার কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন। তিনিও পশ্চিমাদের উসকানিকেই যুদ্ধবিরতি না হওয়ার জন্য দায়ী করেছেন।

মেভলুত কাভুসোগলু

যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তুরস্কের প্রচেষ্টা এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। এজন্য এরদোয়ান পুরো বিশ্বের প্রশংসাও পেয়েছেন। তিনি একদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সাথে সুসম্পর্ক ধরে রেখেছেন, অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর মধ্যেও সুসম্পর্ক ধরে রাখার বিরল কূটনৈতিক পন্থা অবলম্বন অব্যাহত রেখেছেন। একইসাথে ইরানের বিরুদ্ধে যে পশ্চিমা রোষানল পড়েছে তা প্রশমিত করার জন্যও আঙ্কারার ভূমিকা রয়েছে।