নজিরবিহীন কম ভোটার, সাঈদের পদত্যাগ দাবি

তিউনিসিয়ায় গতকাল শনিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট কাস্ট হয়েছে মাত্র ৮.৮ শতাংশ। দেশটির ইতিহাসে এরকম নির্বাচন নজিরবিহীন। রাজনৈতিক দলগুলো ভোট বয়কট করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী জোট সালভেশন ফ্রন্ট প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদের পদত্যাগ দাবি করেছে। তারা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধ্বংস করার অভিযোগ তুলেছেন।

নজিরবিহীন কম ভোটার, সাঈদের পদত্যাগ দাবি

টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবরে বলা হচ্ছে, দেশটির জনগণ ও রাজনৈতিক দলের নেতারা সাঈদের মতো অভিজাত রাজনীতিকদের নিয়ে বিরক্ত। তবে কিছু বিশ্লেষক বলছেন, প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক সংস্কার সঠিক পথে রয়েছে। এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক সংকট সমাধান করার সুযোগ সাঈদের হাতে আসবে। কম ভোটার উপস্থিতি হলেও নির্বাচিতদের জবাবদিহিতা আরও উন্নত হবে।

বিরোধী দলগুলোর জোট সাভেশন ফ্রন্ট শনিবারের নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয়। এই জোটে দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় দল এন্নাহদা রয়েছে। জোট নেতারা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতা আরও কুক্ষিগত করতে এই নির্বচনের আয়োজন করেছেন। এটি তার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা বাস্তবায়নের অংশ।

কাইস সাঈদ

শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এবারের ভোটে ২০১৪ ও ২০১৯ সালের আইনসভা নির্বাচনের তুলনায় ভোটার উপস্থিতি একেবারেই নগন্য। সালভেশন ফ্রন্ট জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট সাঈদকে তার পদ থেকে সরে যেতে হবে। জোটটির দাবি, কম ভোটার উপস্থিতির ফলে সাঈদ বৈধতা হারিয়েছেন।

ভোটগ্রহণের সময় সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা তিউনিসের আশপাশে বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের সারি দেখতে পেয়েছেন। সাবেক এমপি সাইদা ওউনিসি বলেন, যা ঘটল তা নির্বাচন নয়। এটাকে নির্বাচন বলা লজ্জার।

এন্নাহদা দল থেকে নির্বাচিত ওউনিসি দেশটির মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। তিনি বলেন, দেশ এখন অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। এর পেছনে কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধ প্রভাব পড়েছে। প্রেসিডেন্ট সাঈদের প্রতি জনগণ ক্ষুব্ধ। তিনি গণতন্ত্র ব্যাহত করে নিজ ক্ষমতাকে আরও পাকাপোক্ত করতে চান।