বই বিলাসী
- Details
- by জীবনশৈলী ডেস্ক
নানা ছন্দ, নানা আবেগের কালো শব্দযুক্ত বইয়ের নাম শুনলে কেউ ভ্রু কুঁচকে ফেলে আবার কেউ শুভ্র সাদা পাতায় হারিয়ে যায়। রাত দিন ভুলে বর্তমান হতে অতীত, ভবিষ্যতে হারিয়ে যাওয়া যায় এই কালো মুক্ত কুড়ানোর নেশায়। অনেকেরই বইয়ের প্রতি নেশা বা ঝোঁক আছে। এই নেশার জন্য কাউকে কাউকে ডাকা হয় বইয়ের পোকা বা বই পাগলা। কিন্তু রোজকার জ্ঞান-বিনোদনের সঙ্গী বইয়ের ব্যবহার অনেকে জানেন না। মানুষের সবচেয়ে কাছের বন্ধু বইয়ের ব্যবহার মানে নিলাম আর পড়লাম নয়। এরও আলদা যত্ন লাগে। কাজের মধ্য দিয়েই মানুষের রুচির প্রকাশ পায়। বইয়ের ব্যবহার, যত্ন ও গুছানোর মধ্য দিয়েও বইয়ের মালিকের রুচির প্রকাশ পায়।
বই ভর্তি শেলফ দেখতে সবারই খুব ভালো লাগে। অন্যান্য জিনিসের মত ঘর সাজাতে বইয়ের ব্যবহার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে। মনকে আলোকিত ও প্রসারিত করার প্রথম উপকরণ বই। তারপর সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবে কাজ করে। বই ব্যবহারেরও কিছু আদবকেতা রয়েছে।
জেনে নিন সেগুলো-
বই পড়ার সময় কি করা উচিত, উচিত নয়
বইতে কলম বা পেন্সিল দিয়ে দাগ দেয়া উচিত না। যদি কোনো শব্দ বা বাক্য দাগাতেই হয় তবে ছোট করে হালকা করে দাগান। অন্যের পড়তে সমস্যা হতে পারে।
বইয়ের পাতা কখনো ভাজঁ করবেন না। এর বদলে পেজমার্ক ব্যবহার করুন। এতে বই খুঁজে পেতে সহজ হবে, ভালো থাকবে। বইয়ের পাতায় স্টিলের পেপার ক্লিপ ব্যবহার করা উচিত নয়, এতে মরচে পড়ে পাতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পাতা উল্টাতে থুতু ব্যবহার করবেন না। ব্যাপারটা আনহাইজিনিক। নিজের কিংবা লাইব্রেরির হোক, কখনো বইয়ের পাতা ছিঁড়বেন না। প্রয়োজনে নোটবুকে তথ্যটি টুকে নিন।
বই পড়তে পড়তে বিশেষ করে মোটা, বড় বই উল্টে রাখবেন না। বইয়ের বাইন্ডিং ছিঁড়ে যেতে পারে। অনেকেই বইয়ের মধ্যে ফুল রাখেন এটা ঠিক নয়। বইয়ের ছেঁড়া পাতা, পুরোনো নথিপত্রে সেলোটেপ লাগানোর আগে বই এর সংরক্ষণের জন্য তা নিরাপদ কি না জেনে নিতে হবে।
লাইব্রেরির এক সেকশনের বই আরেক সেকশনে রাখবেন না। এতে অন্য কারো বই খুঁজে সহজ হবে। সহজে বই খুঁজে পেতে নিজের সংগ্রহের বই বিষয় বা লেখকের নাম অনুসারে লেবেলিং ও ট্যাগ লাগিয়ে বই গুছিয়ে রাখুন।
বই সরাসরি রোদে না রাখাই ভালো। বই ড্যাম্প হতে পারে তাই স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় বই সংরক্ষণ করা উচিত নয়। বইয়ের আলগা বা ছেঁড়া পাতা থাকলে বাধিঁয়ে নিন।
বুকশেলফে গাদাগাদি করে বই রাখা উচিত নয়। পোকার অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে নিমপাতা শুকিয়ে বা ন্যাপথলিন বুক শেলফে রেখে দিন। বইয়ের রাখার স্থান মাঝে মাঝে পরিষ্কার করুন।
বই দেওয়া-নেওয়ার নিয়ম
বই সব সময় কিনে পড়া সম্ভব নয় বলে দেওয়া-নেওয়া খুব সাধারণ একটি ব্যাপার। কিন্তু অনেকেই বই পড়তে নিয়ে ফেরত দেন না। বই দেয়া-নেয়ার সময়ও কিছু ব্যাপার মনে রাখা উচিত-
কাউকে বই ধার দিতে হলে যাকে দিচ্ছেন তার নাম, বইয়ের নাম এবং যোগাযোগের ঠিকানা লিখে রাখুন।
বই যেভাবে ধার নিয়েছেন সেভাবেই ফেরত দিতে চেষ্টা করুন। বই ফেরত দেওয়ার সময় মলাট করে ফেরত দিন। এতে আপনার সুরুচি প্রকাশ পাবে। ধারকৃত বই নিলে যথাসময়ে তা ফেরত দিন। এতে সময়ানুবর্তী মনোভাব প্রকাশ পায়। দেরি হলে বইয়ের মালিককে জানিয়ে দিন আরো কিছু সময় লাগবে। বই এর প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা প্রকাশে আদবকেতা মনে চলুন। বইয়ের যত্ন নিন, বইকে ভালোবাসুন।
আপনি আরও পড়তে পারেন
আপনার শিশু হয়ে উঠুক আত্মবিশ্বাসী
পরিবারের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষটির যত্ন
অফিসডেস্ক যেভাবে সাজাবেন
লিফট ব্যবহারের কায়দাকানুন
জেনে নিন রেস্টুরেন্টে বা খাবার টেবিলের আদবকেতা
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.