পর্তুগাল-মরক্কো: পরিসংখ্যানে সমানে সমান

এবারের বিশ্বকপে সবচেয়ে বড় চমক মরক্কো। বিশ্বকাপের ইতিহাসে চতুর্থ আফ্রিকান দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে তারা। এবার আরও বড় ইতিহাস গড়ার হাতছানি হাকিমি-জিয়াচ-বুনুদের সামনে। কিন্তু তাদের স্বপ্নযাত্রা এখানেই থামিয়ে দেওয়ার আশা পর্তুগালের।

সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে মরক্কো ও পর্তুগাল

বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত নয়টায় সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে পর্তুগাল ও মরক্কো। লড়াইয়ের মঞ্চ দোহার আল থুমামা স্টেডিয়াম। বল মাঠে গড়ানোর আগে দেখে নেওয়া যাক কী বলছে দুই দলের পরিসংখ্যান:

* বিশ্বকাপের ইতিহাসে এ পর্যন্ত দুইবার সাক্ষাৎ হয়েছে মরক্কো ও পর্তুগালের। যেখানে দুই দলই একটি করে ম্যাচ জিতেছে। ১৯৮৬ সালে প্রথমবারের দেখায় পর্তুগিজদের ৩-১ গোলে হারিয়েছে মরক্কানরা। সেই প্রতিশোধ গত আসরে নিয়েছে ইউরোপিয়ান জায়ান্টরা। মরক্কোকে ১-০ গোলে হারায় তারা।

* বিশ্বকাপের ইতিহাসে কখনো ফাইনাল খেলতে পারেনি পর্তুগাল। তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য সেমিফাইনাল। দুবার শেষ চারে উঠেছে তারা। ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ অভিষেক আসরে তৃতীয় সেরা দল হয়েছিল পর্তুগিজরা। ২০০৬ বিশ্বকাপে স্থান নির্ধারণী ম্যাচে হারে তারা।

* বিশ্বকাপে এটা হতে যাচ্ছে পর্তুগালের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল। বিপরীতে এবারই প্রথম শেষ আটের ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে মরক্কো। সবশেষ ১৯৮৬ বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে উঠেছিল আফ্রিকান প্রতিনিধিরা।

* পর্তুগালের চার বছর পর বিশ্বকাপে অভিষেক হয় মরক্কোর। আফ্রিকান প্রথম দল হিসেবে টুর্নামেন্টের নক আউট পর্বের কাটে তারা। সেটি ১৯৮৬ সালে। ওই আসরের পর লম্বা সময় বিশ্বকাপে জয় পায়নি তারা। ১৯৯৮ সালে খরা কাটায় তারা। এই বিশ্বকাপে এসে আবার ২৪ বছরের জয়খরা কাটায় মরক্কো।

* মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দল হিসেবে এবারই টুর্নামেন্টের নক আউট পর্বে ওঠে তারা। মধ্যপাচ্যের প্রথম কোচ হিসেবে এই সাফল্য পেলেন ওয়ালিদ রেগরাগি। তার অধীনে টানা সাত ম্যাচ ধরে অপরাজিত আছে মরক্কো। এবারের আসরে সবচেয়ে কম (যৌথভাবে) এক গোল হজম করেছে তারা। সেটাও আবার আত্মঘাতী।

* এর আগে যে তিনটি দল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল তাদের একটিও উঠতে পারেনি সেমিফাইনালে। ১৯৯০ সালে ক্যামেরুন, ২০০২ সালে সেনেগাল ও ২০১০ বিশ্বকাপে ঘানা বিদায় নেয় শেষ আট থেকে।

* এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ও একমাত্র হ্যাটট্রিকটি পর্তুগাল ফরওয়ার্ড গনসালো রামোসের। শেষ ষোলোর ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন এই ফরওয়ার্ড। ২০০২ সালে জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসার পর তিনি প্রথম ফুটবলার যিনি বিশ্বকাপে শুরুর একাদশে খেলে হ্যাটট্রিক করেন।

* বিশ্বকাপে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর গোল এখন আটটি। আর এক গোল করলে তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন স্বদেশি কিংবদন্তি ইউসেবিওর সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। কেবলমাত্র ১৯৬৬ বিশ্বকাপ খেলে আট গোল করেছিলেন ইউসেবিও।

* এবারের আসরে একমাত্র দল হিসেবে প্রতিপক্ষের কোনো ফুটবলারের গোল হজম করেনি মরক্কো। তারা অবশ্য একটি গোল হজম করেছে। সেটি আত্মঘাতী। কানাডার বিপক্ষে নিজেদের জালে বল জড়ান মরক্কান ডিফেন্ডার নায়েফ অ্যাগার্ড।

* সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে গোল করেন পেপে। বিশ্বকাপের নক আউট পর্বের ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে বুড়ো গোলদাতা (৩৯ বছর ও ২৮৩ দিন)। তবে সার্বজনিন রেকর্ডে তার অবস্থান দুইয়ে। ৪২ বছর বয়স পার করেও গোল করেছিলেন ক্যামেরুনের রজার মিলার।

* দুই দলের সর্বশেষ লড়াইয়ে জিতেছে পর্তুগাল। প্রায় সাড়ে বছর আগের ওই লড়াইয়ে ব্যবধান গড়ে দিয়েছিলেন রোনালদো।