সিদ্ধান্তে অনড় বেলজিয়াম

বিশ্বকাপের দেশ কাতারে সমকামিতা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। তাই দেশটিতে এই সম্প্রদায়ের মানুষকে কঠোর বার্তা দিয়ে রেখেছে কাতার প্রশাসন। তাদের সমর্থন দিচ্ছে ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফাও। সমকামিতা ইস্যুতে স্বাগতিক দেশ ও ফিফার যৌথ অবস্থান বেশ শক্ত। বিশ্বকাপের সময় এই সম্প্রদায়ের দায়িত্ব নেবে না তারা।

বেলজিয়ামের ফুটবল দল

তাতে চটেছে ইউরোপের সাতটি দেশ। সমকামিদের সমর্থন জানিয়ে জাতীয় দলের অধিনায়করা জার্সিতে ‘ওয়ানলাভ’ স্টিকার কিংবা ‘ওয়ানলাভ’ আর্মব্যান্ড সম্বলিত জার্সি পরে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাৎক্ষনিকভাবে কঠিন পদক্ষেপ নেয় ফিফা। তারা জানায়, কোনো অধিনায়ক এমনটি করলে তাকে হলুদ কার্ড দেওয়া হবে।

শুধু তাই নয়, ওই খেলোয়াড় নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে হুংকার ছাড়ে ফিফা। তাতে পিছু হটেন ইংল্যান্ড, ওয়েলস, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানি অধিনায়করা। কিন্তু প্রতিবাদে অনড় থাকল ইউরোপের আরেক জায়ান্ট বেলজিয়াম। দলটির অধিনায়ক অ্যাওয়ে জার্সিতে ‘ওয়ান লাভ’ ট্যাগ নিয়েই মাঠে নামবেন।

মঙ্গলবার রাতে ইএসপিএন ফুটবল একটি সূত্রের বরাত দিয়ে খবরটি নিশ্চিত করেছে। তবে গ্রুপপর্বে ‘ওয়ানলাভ’ স্টিকার সম্বলিত জার্সিতে দেখা যাবে না বেলজিয়াম অধিনায়ককে। কারণ গ্রুপপর্বের তিনটি ম্যাচই তারা খেলবে লাল রঙের হোম জার্সিতে। অর্থাৎ বেলজিয়ানরা নক আউট পর্বে উঠলে সেখানে প্রতিবাদ জানাবে। আপাতত এই বার্তাই দিয়ে রাখল বেলজিয়াম।

এর পরিণতি যে দলের ওপর প্রভাব ফেলবে সেটা পরিষ্কার। বাকি ছয় দেশের অধিনায়কেরা অবশ্য প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখতে নারাজ। ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন জানান, ভয়ে তিনি জার্সিতে ‘ওয়ানলাভ’ স্টিকার পরেননি তিনি। নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক জানান, ইচ্ছে ছিল ‘ওয়ানলাভ’ স্টিকারের জার্সি পরার। কিন্তু এটার জন্য আমি হলুদ কার্ড দেখতে চাই না।

কাতার রক্ষণশীল দেশ। তাই কেবল সমকামিতাই নয়, অ্যালকোহল ইস্যুতেও কঠোরতা দেখিয়েছে তারা। বিশ্বকাপের আট ভেন্যুতে অ্যালকোহল বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে কাতার প্রশাসন। সেই বিতর্ক ছাপিয়ে আলোচনায় এখন কেবল সমকামিতা প্রসঙ্গ।