বিশাল ধাক্কা, সৌদিতে দর্পচূর্ণ আর্জেন্টিনার

ম্যাচের শুরুতে লিওনেল মেসির কল্যাণে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। অফসাইডের বাধায় না পড়লে বিরতিতে যাওয়ার আগেই এক হালি গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকতে পারতো লিওনেল স্ক্যালোনির শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে এর বড় মাশুল দিতে হয় মেসি বাহিনীকে। এগিয়ে থাকা জায়ান্টরা বিরতির পরই পথ হারায়। পাঁচ মিনিটের ঝড়ে তাদের ২-১ গোলে পরাজিত করে দুর্দান্ত শুরু পেয়েছে সৌদি আরব।

হতাশ করল মেসির দল

লুসাই স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে আর্জেন্টিনা। প্রথম মিনিটে এগিয়ে যেতো পারতো লা আলবিসেলস্তেরা। ডি বক্স থেকে মেসির নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন সৌদি আরবের গোলরক্ষক মোহাম্মদ আল ওয়াইস। তার নয় মিনিট পরই এগিয়ে যায় দক্ষিণ আমেরিকার জায়ান্টরা। স্পট কিক থেকে দলকে এগিয়ে নেন মেসি।

প্যারিস সেন্ট জার্মেই, পিএসজি ফরওয়ার্ডের স্পট কিক বুঝতে না পেরে উল্টো দিয়ে লাফিয়ে পড়েন ওয়াইস। তার আগের মিনিটে মেসির নেওয়া কর্নার কিকের সময় নিজেদের ডি বক্সে ইন্টার মিলান তারকা লাওতারো মার্টিনেজকে ফেলে দেন সৌদি আরবের ডিফেন্ডার আল বুলায়হি। ভিএআর দেখে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। গোলমআদায় করে নেন মেসি। প্রথমার্ধের বাকি সময়েও আধিপত্য ধরে রাখে আর্জেন্টিনা।

এ সময় আরও তিনবার জালে বল জড়িয়েও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি লিওনেল স্ক্যালোনির দল। অফসাইডের কারণে প্রতিবারই জায়ান্টদের গোল বাতিল হয়। এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দলটি। পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসে সৌদি আরব। ম্যাচে ফিরতেও বেশি সময় নেয়নি এশিয়ার দলটি। ৪৮ মিনিটে আর্জেন্টিনার জালে বল জড়ান সালেহ আল সেহরি।

সমতা ফিরে আরও তেঁতে উঠে সৌদি আরব। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে পাঁচ মিনিট পর এগিয়ে যায় হার্ভে রেনার্ডের শিষ্যরা। এ সময় ঠিকানা খুঁজে নিয়ে প্রতিপক্ষকে স্তব্ধ করে দেন সালেম আলদাওসারি। পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠে আর্জেন্টিনা। একের পর এক সৌদি আরবের অর্ধে আক্রমণ চালায় মেসি বাহিনী।

কিন্তু আর্জেন্টিনার সব আক্রমণ সৌদি আরবের রক্ষণভাগ এবং গোলকিপারের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে প্রায় গোল পেয়েই গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। গোল লাইন থেকে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের শট হেডের মাধ্যমে ফিরিয়ে দেন আল মালিকি। অতিরিক্ত সময়ে অনেক চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি আর্জেন্টিনা।