রক্ষণশীল কাতারের ১০ পদক্ষেপ

আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির নাম স্বাগতিক হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে তা এখনও থামেনি। বিতর্কের ইস্যু অবশ্য অনেক। তবে দেশটির ধর্মীয় অনুশাসন নিয়েই সাম্প্রতিককালে বেশি বিতর্ক সৃষ্টি করছে ইউরোপ ও পশ্চিমা বিশ্ব।

কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ

এশিয়ার মাটিতে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার শুরু হলো বিশ্বকাপ। তবে মধ্যপ্রাচ্যে টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘটনা এবারই প্রথম। রোববার রাতে জমকালো এক উদ্বোধন অনুষ্ঠান করেছে কাতার। সেখানেও ধর্মীয় চর্চার প্রয়াস চালিয়েছে কাতার। পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এবারের বিশ্বকাপ।

এবারের বিশ্বকাপে ধর্মীয় একটা প্রভাব খাটাচ্ছে কাতার। রক্ষণশীল দেশ হওয়ায় বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। যা নিয়ে হয়তো বিতর্ক আছে। সেদিকে অবশ্য ভ্রক্ষেপ নেই তাদের। এদিক থেকে বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোরও সমর্থন আছে। স্টেডিয়ামে মদ বিক্রির বিরোধিতা করেছেন তিনিও।

চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বকাপে রক্ষণশীল কাতারের নেওয়া পদক্ষেপসমূহ:

১. বিশ্বকাপের আট ভেন্যুতে মদ বিক্রির নিষেধাজ্ঞা জারি।

২. রঙিন লোগো ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।

৩. নামাজের সময় গান বাজনা বন্ধ রাখা।

৪. ইসলাম প্রচারে ও ভালো কজের দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দেয়ালের বিভিন্ন কোণে। নবী-রাসুলদের বিভিন্ন সময়ের বানী ও হাদিস লেখা হয়েছে।

৫. প্রতিটি স্টেডিয়ামের ভেতর প্রার্থনা কক্ষ তথা নামাজের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া মুয়াজ্জিন ও ইমাম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামে আগত সব দর্শক যাতে আযানের আওয়াজ শুনতে পারেন সেটির জন্য করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

৬. আরব সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ইতিহাসের ওপর বিভিন্ন ভাষায় জনসাধারণের মধ্যে বই, লিফলেট বিতরণ করা।

৭. সমকামিতায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা।

৮. বিশ্বকাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত।

৯. ইসলামিক স্কলার ডা. জাকির নায়েক ও তার পুত্র ফারিক নায়েককে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো।

১০. বিশ্বকাপের সময় কাতারজুড়ে ইসলামিক পন্ডিতদের ধর্মীয় বক্তব্য উপস্থাপনের ব্যবস্থা করা।