দুই কিংবদন্তির রেকর্ড ভাঙার সুযোগ মেসির

গত দেড় যুগ ফুটবলকে অনেককিছুই দিয়েছেন লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কিন্তু আর্জেন্টিনা ও পর্তুগাল অধিনায়কের দায় এখনো মেটাতে পারেনি ফুটবল। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া কাতার বিশ্বকাপে কি চিরকালীন আক্ষেপের অবসান হবে? উত্তর তোলা থাকল ভবিষ্যতের হাতে।

লিওনেল মেসি

এবারের আসরে পর্তুগালের চেয়ে আর্জেন্টিনাকেই বেশি এগিয়ে রাখা হচ্ছে। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিততে পারুক বা না পারুক মেসিকে ডাকছে অনন্য দুটি রেকর্ড। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ ও মিনিট খেলার রেকর্ড ভাঙার সুযোগ তার সামনে। ল্যাটিন আমেরিকান জায়ান্টরা সেমিফাইনালে উঠলেই হয়ে যেতে পারে মেসির দুটি বিশ্বকাপ রেকর্ড।

সর্বোচ্চ পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ডটা চারজনের দখলে। তারা হলেন- মেক্সিকোর দুই কিংবদন্তি অ্যান্তনিও কারবাহাল ও রাফায়েল মার্কেজ, জার্মানির লোথার ম্যাথুস ও ইতালির জিয়ানলুইজি বুফন। কাতার বিশ্বকাপে মেসি-রোনালদোসহ তারা সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছেন আরও চারজনকে।

সর্বোচ্চ পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলার এলিট ক্লাব ডাকছে আর্জেন্টিনার মেসি, পর্তুগালের রোনালদো, মেক্সিকোর গুলের্মো ওচোয়া ও আন্দ্রেস গুয়ার্দাদোকে। তাহলে বিশেষ ক্লাবটিতে সদস্য হবেন আটজন। বাকি সাতজনের চেয়ে একটা জায়গায় আলাদা হওয়ার সুযোগ আছে মেসির।

বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২৫টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড জার্মান কিংবদন্তি ম্যাথুসের দখলে। সেখানে চার বিশ্বকাপে মেসির ম্যাচ সংখ্যা ১৯টি। চোটে না পড়লে এবং আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে উঠলে ম্যাথুসকে পেছনে ফেলতে পারবেন মেসি। তখন ফাইনাল ও তৃতীয়স্থান নির্ধারণী লড়াইয়ে তার ম্যাচ হয়ে যাবে ২৬টি।

১৯৮২ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত টানা পাঁচ আসরে জার্মানির জার্সিতে ২০৪৭ মিনিট মাঠে ছিলেন ম্যাথুস। যদিও বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সময় খেলার রেকর্ডটা তার দখলে নেই। ইতালির কিংবদন্তি পাওলো মালদিনি চার বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২২১৭ মিনিট মাঠে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মেসির উপস্থিতি ১৬২৪ মিনিট।

আর্জেন্টিনাকে সেমিফাইনালে নিতে পারলে ম্যাথুস-মালদিনি দুই কিংবদন্তির রেকর্ডই ভেঙে ফেরতে পারবেন মেসি। কাজটা অবশ্য সহজ নয়। এ জন্য ভাগ্যকেও পাশে থাকা চাই। কারণ চোটের কারণে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া কিংবা মাঠের বাইরে গিয়ে ম্যাচ মিসের ঘটনা অহরহ ঘটে থাকে। তা ছাড়া দলকেও যেতে হবে অনেক দূর।