ফুটবলার জামালকে ডেনমার্কের পতাকা নামাতে বললেন পুলিশ সদস্য!

আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাসা বাড়িতে প্রিয় দলের পতাকা টানাচ্ছেন ভক্ত সমর্থকরা। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও এর ব্যতিক্রম নন। তিনি প্রিয় দল ডেনমার্কের পতাকা উড়িয়েছেন। তবে এই কাজ করতে গিয়ে রীতিমতো ‘হেনস্থা’র শিকার হতে হয়েছে মাঝমাঠের এই তারকা খেলোয়াড়কে।

জামাল ভূঁইয়া

আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশ ফুটবলের প্রতিনিধিত্ব করলেও জামাল ভূঁইয়া জন্মসূত্রে একজন ড্যানিশ। ১৯৯০ সালের ১০ এপ্রিল ইউরোপের দেশটির রাজধানী এবং অন্যতম বড় শহর কোপেনহেগেনে জন্মগ্রহণ করেন এই ফুটবলার। তাই বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে জন্মভূমির হয়ে গলা ফাটাবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এটা হয়তো ভালোভাবে নিতে পারেননি এক ট্রাফিক পুলিশ।

জামাল ভূঁইয়ার বাসার সামনের সিগনালে দায়িত্বরত ওই ট্রাফিক পুলিশ আর্জেন্টিনার সমর্থক। প্রথমে ডেনমার্কের পতাকা দেখে বুঝতে না পেরে জামাল ভুইয়াকে জেরা করেন তিনি। পরে ট্রাফিক পুলিশকে সব বুঝিয়ে বলেন মাঝমাঠের এই অতন্দ্র প্রহরী।

এ বিষয়ে ১৪ নভেম্বর, সোমবার এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশ আমার বাসায় এসে বলে তুমি কেন এই পতাকা লাগিয়েছ? এটা কিসের পতাকা? আসলে ওরা জানে না এটা ডেনমার্কের পতাকা। এরপর আমি ওনাদের বুঝিয়ে বলি এটা ডেনমার্কের পতাকা। সেখানেই আমার জন্ম। সে জন্যই আমি এই পতাকা লাগিয়েছি।’

ওই পুলিশ সদস্য জামাল ভূঁইয়াকে বলেন, ‘আমিতো ম্যারাডোনার ভক্ত। আপনি আর্জেন্টিনার পতাকা লাগাতে পারেন। আমিতো প্রতিদিন এই সিগনালে কাজ করি।’

জামাল ভূঁইয়াক জানান, এভাবে কথা দেওয়া-নেওয়ার মিনিট বিশেক পর ওই পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ দলের জার্সি উপহার দেন তিনি। জার্সি পেয়ে খুশি হন ওই পুলিশ সদস্য এবং চলে যান।

উল্লেখ্য, ডেনমার্কের হয়ে আসন্ন কাতার বিশ্বকাপ অংশ নিচ্ছেন জামাল ভূঁইয়ার দুই বন্ধু। দারুণ কিছু করবে তার দেশ, এমন আশায় বুক বাঁধছেন এই ফুটবলার, ‘বিশ্বকাপে ডেনমার্ক ভালো কিছু করতে পারে। দলে ভালো কিছু খেলোয়াড় আছে। দলে আমার দুজন বন্ধু খেলবে। আমি তাদের সমর্থন করব। কারণ আমি ওদের সাথে একসাথে খেলেছি। ওরা আমার বাল্যকালের বন্ধু।’