ফেভারিটদের টেনশনে রাখতে পারে কোস্টারিকা

ফেভারিট না হলেও ফেভারিটদের টেনশনে রাখতে পারে কোস্টারিকা। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। এখন পর্যন্ত ৬টি বিশ্বকাপ খেলা দেশটির সর্বোচ্চ প্রাপ্তি ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠা। সেবার ফেভারিটদের ভিতও কাঁপিয়ে ছাড়ে কোস্টারিকা।

বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার পর এভাবেই আনন্দে মাতে কোস্টারিকার খেলোয়াড়রা

তবে ২০১৮ বিশ্বকাপে ভালো করতে পারেনি দলটি৷ গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়। এমনকি একটি ম্যাচও জিততে পারেনি৷ এবার সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে কাতারে নতুন উদ্যোমে এগোতে চায় কোস্টারিকা।

দলটির জন্য শেষ পর্যন্ত একটা দুঃসংবাদ হতে পারে অভিজ্ঞ গোলকিপার কেইলর নাভাসকে না পাওয়া। এখনো নিয়মিত হতে পারেননি তিনি। ফিটনেস সমস্যার কারণে তার বর্তমান ক্লাব পিএসজিও নামাতে পারছেন না। দিনের পর দিন সাইডবেঞ্চে কাটছে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদের নাম্বার ওয়ান গোলকিপারের। শেষ পর্যন্ত তাকে না পেলে নতুন করে পোস্টের প্রহরী ঠিক করতে হবে কোস্টারিকাকে।

এবারের দলটা কেমন

পুরো দলে তারকা বলতে কেইলর নাভাস। বাকিদের বেশিরভাগই খেলেন দেশের ও আশপাশের দেশের ক্লাবে। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে কোস্টারিকা খেলোয়াড়দের জায়গা বেশি হয় না। তবু গত চার বছরে কোস্টারিকা অনেকখানি উন্নতি করেছে। এবার বিশ্বকাপে জায়গা পেতেও দারুণ লড়াই করেছিল। যেখানে ১৫ ম্যাচের মধ্যে আটটিতে জয় পায় তারা। হেরেছে তিন ম্যাচ। এদিক থেকে আত্নবিশ্বাসী হতেই পারে কোস্টারিকা।

দলে তারকা না থাকলেও প্রতিপক্ষের সঙ্গে ফাইট দেওয়ার মতো খেলোয়াড় আছে। রক্ষণভাগ মন্দ না। বুড়ো ব্লানঙ্কো, ঘামবোয়াদের সঙ্গে ২২ বছর বয়সী ফেরানও চমক দেখাতে পারেন। মাঝ মাঠে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব মাতানো রেন্ডল লিল। তার সঙ্গে জুটি বাঁধবেন আরেক মিডফিল্ডার অ্যলান ক্রুজ। আক্রমণভাগে জোয়েল চ্যাম্পবেল ও অন্থোনিও কনতেরাস হতে পারেন দলটির ভরসায় নাম।

আশারপ্রদীপ

গতিময় ফুটবলের জামানায় কোস্টা এক্সপ্রেসের বড় শক্তি আক্রমণভাগের জোয়েল চ্যাম্পবেল। মেক্সিকোর ক্লাব লিওনে খেলা ৩০ বছর বয়সী চ্যাম্পবেলকে ঘিরেই স্বপ্ন সাজাচ্ছে কোস্টারিকা। এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে তিনি ১১৮টি ম্যাচ খেলেছেন। যদিও সেই তুলনায় গোল মাত্র ২৫টি। এর কারণ ফিনিশিংয়ে এখনো কিছু খুত রয়ে গেছে তার। তবে বল বানিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাটা দারুণ।

নেপথ্যে নায়ক

১৫টির মতো ডাগআউটে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্তমান কোস্টারিকা কোচ লুইস ফার্নান্দো সুয়ারেজের। অল্প সময়ের খেলোয়াড়ি জীবনের সমাপ্তি টেনে ১৯৯৯ থেকে কোচিংয়ে নাম লেখান তিনি। বিভিন্ন ক্লাবের পাশাপাশি হন্ডুরাস, ইকুয়েডর জাতীয় দলেরও কোচ ছিলেন এই সুয়ারেজ। ২০২১ সালে কোস্টারিকার দায়িত্ব নেন। সে থেকে এখন পর্যন্ত তার অধীনে দলটি ২৩ ম্যাচ খেলে ১৩টিতে জয় পায়।

একনজরে

র‌্যাঙ্কিং-৩১
প্রথম বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ-১৯৯০
মোট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ-৬ বার
সর্বোচ্চ অর্জন-কোয়ার্টার ফাইনাল (২০১৪)
বেশি ম্যাচ: সেলসো বোরগেজ (১৫৪)
বেশি গোল: রোনালদো ফোনেকা (৪৭)

*গ্রুপ পর্বের তিন প্রতিপক্ষ- স্পেন, জার্মানি ও জাপান

*ফিকশ্চার

২৩ নভেম্বর রাত ১০টা কোস্টারিকা-স্পেন
২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টা কোস্টারিকা-জাপান
১ ডিসেম্বর রাত ১টা কোস্টারিকা-জার্মানি।