জয় দিয়েই মিশন শুরু করল বাংলাদেশ

গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে নেদারল্যান্ডসের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান টম কুপার বলেছিলেন, বাংলাদেশকে না হারানোর কোনো কারণ দেখছে না তার দল। তবে কুপারের দেওয়া কথা অনুযায়ী কাজ করতে পারেনি ডাচ বাহিনী। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসান অ্যান্ড কোংয়ের কাছে ৯ রানে হেরে গেছে ইউরোপের দলটি।

শুরুতেই ডাচদের টুটি চেপে ধরেছিল টাইগাররা

হোবার্টে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৪৪ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ১৩৫ রানে থেমেছে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই মহাবিপদে পড়ে নেদারল্যান্ডস। তাসকিন আহমেদের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই বিক্রমজিৎ সিং ও বাস দে লিডিকে হারায় ডাচরা। সে ধাক্কা সামাল দিয়ে ওঠার আগেই রান আউটের ফাঁদে পড়েন ম্যাক্স এবং ডাউড ও কুপার। ১৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে বসে নেদারল্যান্ডস। এরপর অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডসকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন কলিন অ্যাকারম্যান।

পঞ্চম উইকেটে ৪৪ রান যোগ করেন এই দুজন। প্রস্তর যুগের ব্যাট করে ১৬ রান করে ফেরেন অধিনায়ক। কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন অ্যাকারম্যান। তাসকিনের শিকার হওয়ার আগে ৪৮ বলে ৬২ রান করেন তিনি। শেষ দিকে মারমুখি ব্যাটিংয়ে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন মিকিরেন। তবে তার ১৪ বলে ২৪ রানের ইনিংসে কেবল দলের পরাজয়ের ব্যবধানই কমেছে। ২৫ রানের বিনিময়ে চার উইকেট নেন তাসকিন। হাসান মাহমুদের শিকার দুটি। 

এর আগে বাংলাদেশের ইনিংসে অবদান রেখেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে আফিফের ব্যাট থেকে। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৭ বলে দুটি করে চার এবং ছয় মারেন এই তরুণ ক্রিকেটার। ২০ বলে চার বাউন্ডারিতে ২৫ রান করেন শান্ত। শেষদিকে ছোট ঝড় তোলেন সৈকত। ১২ বলে ২০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার। মূলত তার ব্যাটে ভর দিয়েই মান বাঁচানো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।