ক্যাম্ফারের ব্যাটে আশা বাঁচিয়ে রাখল আয়ারল্যান্ড

মাইকেল জোন্স ও রিচি বেরিংটনের কল্যাণে স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় স্কটল্যান্ড। বোলিংয়ে শুরুটাও দারুণ করেছিল স্কটিশরা। কিন্তু কার্টিস ক্যাম্ফার ও জর্জ ডকরেল দলটির সব আশা শেষ করে দেন। তাই প্রথম ম্যাচ হারলেও ৬ উইকেটের জয়ে সুপার টুয়েলভের আশা বাঁচিয়ে রাখল আইরিশরা।

ফিফটি করেছেন আইরিশ ব্যাটার

হোবার্টের ব্লান্ডস্টোন অ্যারেনায় টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক রিচি বেরিংটন। তবে অধিনায়ককে খুশি করতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফিফটি হাঁকানো জর্জ মুনশে। ব্যক্তিগত ১ রানেই মার্ক আদায়েরের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই ওপেনার।

দ্বিতীয় উইকেটে ৫৯ রানের জুটি গড়েন মাইকেল জোন্স ও ম্যাথু ক্রস। ২১ বলে পাঁচ চারের সাহায্যে ২৮ রান করে কার্টিস ক্যাম্ফারের শিকারে পরিণত হন ক্রস। অপর প্রান্তে অবিচল ছিলেন জোন্স। বেরিংটনকে নিয়ে আরও ৭৭ রান যোগ করেন এই ওপেনার। ৩৭ রান করে বিদায় নেন অধিনায়ক। তার আগে ২৭ বলে তিন চারের পাশাপাশি এক ছয় মারেন তিনি।

ফিফটি তুলে নিয়ে ব্যক্তিগত ৮৬ রানে ফেরেন জোন্স। তার ৫৫ বলের ইনিংসটা সাজানো ছিল ছয় চার এবং চারটি ছয়ের মারে। ১৩ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন মাইকেল লিস্ক। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৬ রানের পুঁজি পায় স্কটল্যান্ড। ৯ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন ক্যাম্ফার।

বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৯ রানেই দলের সবচেয়ে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান অ্যান্ড্রু বালবার্নি ও পল স্টার্লিংকে হারায় আয়ারল্যান্ড। এরপর হ্যারি টেক্টর ও লোরকান টাকারের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে আইরিশরা। ব্যক্তিগত ২০ রানে আউট হন পরেরজন। এর কিছুক্ষণ পরই বিদায় নেন টেক্টর। তাতেই ৬৪ রানে চার উইকেটের দলে পরিণত হয় আয়ারল্যান্ড।

এরপরই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান জর্জ ডকরেল ও ক্যাম্ফার। পঞ্চম উইকেটে ১১৯ রানের নিরবচ্ছিন্ন জুটি গড়ে এক ওভার হাতে রেখেই দলকে জয় এনে দেন এই দুইজন। ৩২ বলে ৭২ রানের টর্নোডো ইনিংস খেলেন ক্যাম্ফার। ডকরেলের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান।