বাংলাদেশ-আমিরাত সিরিজের স্পন্সর জুয়া কোম্পানি ‘স্কাইএক্স’

জুয়া, জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠান এবং তাদের নিউজপোর্টাল এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটে বেশ আলোচিত প্রসঙ্গ। গত মাসেই জুয়া প্রতিষ্ঠান বেটউইনারের নিউজপোর্টালের সঙ্গে চুক্তি করে সমালোচিত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। শেষ পর্যন্ত বিসিবির চাপে সেই চুক্তি বাতিল করতে হয়েছে তাকে।

বাংলাদেশ ও আমিরাতের মধ্যকার খেলার একটি দৃশ্য, ফাইল ছবি

আগামীকাল দুবাইয়ে শুরু হতে চলা বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ঘুরেফিরে এসেছে সেই প্রসঙ্গ। কারণ সিরিজের টাইটেল স্পন্সর হয়েছে জুয়া কোম্পানির সঙ্গে জড়িত ‘স্কাইএক্স’।

স্কাইএক্স (স্কাইএক্সচেঞ্জ) মূলত ভারতভিত্তিক একটি সারোগেট স্পোর্টস বেটিং ওয়েবসাইট। যেটি আরব আমিরাত থেকেও পরিচালিত হয়। সিরিজের নামকরণ করা হয়েছে ‘স্কাইএক্স ফ্রেন্ডশিপ টি-২০ সিরিজ’। আগামীকাল ২৫ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

যদিও আমিরাতের আইন অনুযায়ী দেশটিতে সকল ধরনের জুয়া নিষিদ্ধ। আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) উপদেষ্টা সুবহান আহমেদ বলেছেন, আমিরাতের আইন আসন্ন সিরিজে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

বাংলাদেশি এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, এটা ঠিক যে স্কাইএক্স একটি ক্রীড়াভিত্তিক জুয়া প্রতিষ্ঠান। তবে পাশাপাশি তারা নিউজপোর্টালও চালায়। সেই নিউজপোর্টালই এই সিরিজের টাইটেল স্পন্সর হয়েছে।’

সুবহান আহমেদ আরও বলেন, ‘আমরা তাদের ভালো ব্যাপারগুলোর সঙ্গেই আছি। তাদের আরও অনেক ব্যবসা থাকতে পারে। তবে আমরা জুয়া কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যাচ্ছি না।’

ইসিবির উপদেষ্টা জানান, ‘ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট’ একটি অ্যালকোহল কোম্পানি, যারা চলতি মাসে শেষ হওয়া এশিয়া কাপের স্পন্সর ছিল। আবার আমিরাতে অ্যালকোহলও নিষিদ্ধ। তাই স্কাইএক্স স্পন্সর হওয়া কোনো সমস্যা দেখছেন না তিনি।

এদিকে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছেন, তাদের জানা ছিল না যে স্পন্সর স্কাইএক্স একটি জুয়ার প্রতিষ্ঠান। সিরিজের আয়োজক ইসিবি। তাই এখানে বলার মতো জায়গা সামান্যই আছে। তারপরও আগে জানলে কোনো উদ্যোগ নিতে পারতো বিসিবি।