কাতার বিশ্বকাপ থেকে নিষিদ্ধ হতে পারে ইকুয়েডর!

কাতার বিশ্বকাপ শুরু হতে বেশিদিন বাকি নেই। আগামী ১৮ নভেম্বর কাতার এবং ইকুয়েডরের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। তার আগেই কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে ইকুয়েডরের। আসন্ন বিশ্ব মঞ্চে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির অংশগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বায়রন কাস্তিলো

মূলত বাছাইপর্বের নিয়ম ভঙ্গের কারণে বিশ্বকাপ থেকে ইকুয়েডরের নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইয়ে ভুয়া জন্মসনদ ব্যবহার করায় বড় ধরনের মাসুল গুনতে হতে পারে দলটিকে। এক প্রতিবেদনে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে ইংলিশ প্রচারমাধ্যম মেইল অনলাইন।

ঘটনার মূল চরিত্র বায়রন কাস্তিলো। ক্লাব লিওনের এই রাইট ব্যাক মূলত কলম্বিয়ান। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো ডাক পান ইকুয়েড অনূর্ধ্ব-১৭ দলে। ২০১৯ সালে তাকে ভুয়া জন্মসনদ দিয়ে নিজেদের নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করে ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশন, এফইএফ। দুই বছর পর ইকুয়েডরের মূল দলে জায়গা হয় কাস্তিলোর।

ফিফা

সম্প্রতি কাস্তিলোর একটি অডিও সাক্ষাৎকার হাতে পেয়েছে মেইল অনলাইন। যেখানে ২৬ বছর বয়সী ডিফেন্ডারের জন্ম সনদ জালিয়াতির বিষয়ে স্পষ্ট প্রমাণ বেরিয়ে আসে। কলম্বিয়া থেকে ইকুয়েডরের নাগরিক হতে কী কী করতে হয়েছে, সেসব নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন কাস্তিলো।

গত মে মাসেই কাস্তিলোর বিরুদ্ধে ভুয়া জন্মসনদ ব্যবহারের অভিযোগ এনেছিল চিলি। ল্যাটিন আমেরিকার শীর্ষ দলটির অভিযোগে অবশ্য কোনো লাভ হয়নি। সে অভিযোগ নাকচ করে দেয় বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা, ফিফা। কাস্তিলোকে ইকুয়েডরের খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণাও করে সংস্থাটি।

কাস্তিলোর সেই অডিও সাক্ষাৎকার শিগগিরই ফিফার কাছে তুলে ধরবে মেইল অনলাইন। সেটা দেখে নিজেদের অবস্থান জানাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল পরিচালনা সংস্থাটি। ফুটবল পাড়ার জোর গুঞ্জন, গত জুনের সিদ্ধান্ত বদলে ইকুয়েডরকে বিশ্বকাপ থেকে নিষিদ্ধ করতে পারে ফিফা।

বাছাইপর্বে কাস্তিলোকে দিয়ে আট ম্যাচ খেলিয়েছে ইকুয়েডর। নিয়ম অনুযায়ী, এখন সবগুলো ম্যাচে দলটির পয়েন্ট পাবে প্রতিপক্ষ। সেক্ষেত্রে ল্যাটিন আমেরিকা থেকে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার প্ল্যাটফর্ম শেষ চারে থাকা হবে না ইকুয়েডরের। সে সুযোগে বিশ্বকাপের মূল পর্বে চলে যেতে পারে চিলি কিংবা পেরু।