চোর-ডাকাতে কবলে একঝাঁক ফুটবল তারকা

গত কয়েক মাস ধরে ফুটবলারদের বাড়িতে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা বেড়েই চলেছে। বেশির ভাগ ঘটনা ঘটেছে তারকারা বাড়ির বাইরে থাকার সময়। সবশেষ ভুগতে হলো বার্সেলোনা ছেড়ে দেওয়া ফরওয়ার্ড পিয়েরি-এমেরিক আউবামেয়াংকে। এসব ঘটনায় তারকাদের নগদ অর্থ এবং মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া গেলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। দুর্বৃত্তদের কেউ কেউ ধরা পড়েছেন। তবে বেশির ভাগই আছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এমনকি তাদের শনাক্ত করতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

চোর-ডাকাতে কবলে একঝাঁক ফুটবল তারকা

করিম বেনজেমা: গত জানুয়ারিতে এলচের বিপক্ষে ম্যাচ খেলছিলেন করিম বেনজেমা। ওই সময় সান সেবাস্টেইনে তার বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতি হয়। পরে জানা যায় রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকারের বাড়ি থেকে মূল্যবান অনেককিছু খোয়া গেছে। পরদিন ডাকাতির খবর জানায় পুলিশ। ডাকাতির পর পালিয়ে যাওয়ার সময় বেনজেমার বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলে তারা। জানা যায়, ভেঙে যাওয়া গ্লাসটির মূল্য কয়েক কোটি টাকা। বেনজেমার বাড়িতে এটা ডাকাতির দ্বিতীয় ঘটনা।

জেরার্ড পিকে: ২০১৮ সালের জুনে পিকে এবং শাকিরার বাড়িতে চোর ঢুকেছিল। ওই সময় বাড়িতে ছিলেন কলম্বিয়ান পপগায়িকার বাবা-মা। শাকিরার মূল্যবান গহনা চুরি করে পালিয়ে যান দুর্বৃত্তরা। এক বছর পর জানা যায়, জর্জিয়ার একটি চক্র ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। চক্রটির একজন বলেছিলেন, ‘আমরা তাদের (শাকিরা-পিকের পরিবার) কষ্ট দিতে চাইনি। পুলিশ আসার পর আমরা পালিয়ে যাই।’

জর্ডি আলবা: একই বছর বার্সেলোনার আরেক ফুটবলার জর্ডি আলবার বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই সময় দ্বিতীয় তলায় ছিলেন বাড়ির লোকজন। বার্সা লেফট-ব্যাকের বাড়িতে অবশ্য ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু গার্ড জানায়, তিনি কাউকে দেখননি। অপরাধীদের আর শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তবে মূল্যবান অনেক জিনিসপত্র হারিয়ে গেছে আলবার বাড়ি থেকে।

কার্লো আনচেলত্তি: চোর-ডাকাতরা কেবল ফুটবলারদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিলেন তা নয়, রিয়াল মাদ্রিদ প্রধান কোচের বেলায়ও এমনটা হয়েছিল। ওই সময় ইতালিয়ান কোচ ছিলেন এভারটনে। দুজন ব্যক্তি বাড়িতে প্রবেশ করেন। ঘটনার দিন বাড়িতে ছিলেন আনচেলত্তির এক কন্যা। বেনজেমার মেয়ে দুই চোরের একজনকে ধরার চেষ্টা করলেও সফল হননি। পালিয়ে যায় চোর।

রোনালদো নাজারিও: স্পেনের ইবিজা বিচের পাশেই রোনালদো নাজারিওর বাসায় ডাকাতি হয়েছিল। সেই ডাকতরা ছিলেন আলবেনিয়ান। ওই সময় তিন মিলিয়ন ইউরোর মূল্যের ঘড়ি এবং গহনা খোয়া যায় ব্রাজিলের সাবেক স্ট্রাইকারের বাড়ি থেকে। সেই ডাকাতকে চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন মার্কো ভেরাত্তির স্ত্রী। পিএসজি তারকার সঙ্গে ছাদে তখন বার্বিকিউ পার্টি করছিলেন তিনি। রোনালদোর বাড়িতে অঘটন ঘটানো চক্র ভেরাত্তির বাড়িতেও এসেছিলেন।

আনসু ফাতি: গত বছরের শেষ দিকে বার্সেলোনার তরুণ ফরওয়ার্ড আনসু ফাতি সংঘবদ্ধ চোরের কবলে পড়েন। ওই সময় ফাতি ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনা ডার্বি দেখছিলেন। স্প্যানিশ ফরওয়ার্ড বাড়িতে গিয়ে দেখেন মূল্যবান জুয়েলারি, ঘড়ি এবং নগদ অর্থ খোয়া গেছে তার। পুলিশকে ব্যাপারটি জানালেও চোরদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।