জমে উঠল কোহলি-রোহিত লড়াই

ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়েই সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছিল বিরাট কোহলির। তাকে বিশ্রামে পাঠান নির্বাচকরা। এক মাস ছুটিতে থাকাকালীন কোহলি নাকি প্রিয় ব্যাট ছুঁয়েই দেখেননি। সেই কোহলি এবারের এশিয়া কাপে ফিরলেন বীরদর্পে। কাটিয়ে উঠেছেন রানখরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৩৫ রান করার পর তুলে নিলেন পরপর দুই ফিফটি।

টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এখন সবচেয়ে বেশি হাফসেঞ্চুরির মালিক বিরাট কোহলি

হংকংয়ের বিপক্ষে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পর রোববার পাকিস্তানের সঙ্গে ৬০। ৪৪ বলের ইনিংস সাজান চারটি চার ও এক ছক্কায়। কিন্তু বিফলে গেছে কোহলির হাফসেঞ্চুরিটা। নাটকীয় ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে হেরে গেছে ভারত। তাদের ছুড়ে দেওয়া ১৮২ রানের লক্ষ্যমাত্রা বাবর আজমের দল পৌঁছে যায় এক বল হাতে রেখেই।

দলের হেরে যাওয়া ম্যাচে ব্যক্তিগত পারফর‌ম্যান্সে উজ্জ্বল হয়ে থাকলেন কোহলি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ফিফটি করে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন সবাইকে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এদিন কোহলি পেয়েছেন ৩২তম হাফসেঞ্চুরির দেখা। ভারত তো বটেই, বিশ্বের সব ক্রিকেটারের চেয়ে সবচেয়ে বেশি ফিফটি এখন কোহলির। তিনি পেছেনে ফেলেছেন সতীর্থ অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে।

আন্তত ১৫টি টি-টোয়েন্টি খেলা ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং গড় মোহাম্মদ রিজওয়ানের

ভারতের হয়ে ১০২ ম্যাচে ৯৪ ইনিংসে কোহলির রান এখন ৩৪৬২। সর্বোচ্চ সংগ্রহকারীদের তালিকায় তিনি এখনো দুইয়েই আছেন। শীর্ষে রোহিত। ১৩৫ ম্যাচে ১২৭ ইনিংসে ৩৫৪৮ রান করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। তার ফিফটি ৩১টি। একটি বেশি কোহলির। সর্বোচ্চ হাফসেঞ্চুরি করাদের তালিকায় তিনে আছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ২৭টি হাফসেঞ্চুরি তার।

বাবরের পেছনে আছেন যথাক্রমে ডেভিড ওয়ার্নার (২৩), মার্টিন গাপটিল (২২), পল স্টার্লিং (২১), অ্যারন ফিঞ্চ (১৯), লোকেশ রাহুল (১৮), মোহাম্মদ রিজওয়ান (১৬) ও ক্রিস গেইল (১৬)। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০টি ফিফটির মালিক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

কোহলির একটা রেকর্ডে অবশ্য তার ধারেকাছেও কেউ নেই। অন্তত ৬০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং গড় তারই, ৫০.৯১। তবে ৫৯ ম্যাচ খেলা পাকিস্তানের রিজওয়ানের ব্যাটিং গড় ৫২.৫৭।