সাকিবের প্রত্যাশাকে মিথ্যা করেছেন এবাদত

আসলেন, দেখলেন, জয় করলেন। এবাদত হোসেনের টি-টোয়েন্টি অভিষেকের সঙ্গে ওপরের কয়েকটি শব্দ বেশ মানিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু সেটি হয়নি। কারণ প্রথম দুই ওভারে নায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া এবাদত পরের দুই ওভারেই নিজের অভিষেক বিষাদে ঢেকে দিয়েছেন এলোমেলো বোলিং করে। দলের হারের কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে গেছেন।

উইকেট নেওয়ার পর এবাদতের উদযাপন

ডানহাতি এ পেসার প্রথম ওভারেই পাথুম নিশাঙ্কা, চারিথ আসালঙ্কাকে আউট করেছেন চার বলের মধ্যে। বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন। নিজের পরের ওভারে আউট করেছেন গুণাথিলাকাকে। দুর্দান্ত ক্যাচ নেন তাসকিন। ওই ওভারে পেতে পারতেন কুশল মেন্ডিসের উইকেট। কিন্তু রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ। ২ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট, অভিষেকে স্বপ্নের বোলিং।

ইনিংসের ১৩তম ওভারে এবাদতের দুঃস্বপ্ন শুরু। দুই ওয়াইড, দুই ছক্কাসহ ২২ রান দিয়েছেন তিনি। ১৯তম ওভারে এসে আরও বড় সর্বনাশ করেছেন দলের। এবার টেল এন্ডারদের পিটুনির শিকার হয়ে দিয়েছেন ১৭ রান। তাতেই তার রান খরচটা হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। ৪ ওভারে ৫১ রানে ৩ উইকেট, অভিষেকে এবাদতের বোলিং। ৬টি ওয়াইড, ২টি নো বল ম্লান করে দিয়েছে সবকিছু।

চারবার জীবন পেয়ে ফিফটি করেছেন কুশল মেন্ডিস

তারপরও এবাদতের পাশেই থাকছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, ‘এমন চাপের ম্যাচ এর আগে খেলেনি এবাদত। টি-টুয়েন্টিতে অভিষেক হলো আজ। টেস্ট খেলেছে, ওয়ানডে একটি-দুটির বেশি খেলেনি। এমন চাপের পরিস্থিতিতে এত বড় মঞ্চে এই প্রথম মাঠে ছিল। এজনই হয়তো শেষ দুই ওভারে ছন্দটা ধরে রাখতে পারেনি।’

শুরুটা ভালো হওয়ায় সাকিবের ধারণা ছিল, দিনটা হবে এবাদতের। কিন্তু সাকিবকে ভুল প্রমাণ করেছেন দ্রুত গতির এই পেসার, ‘প্রথম ২ ওভারে বোলিং করে এবাদত আমাদের ম্যাচে ফিরিয়েছিল। তারপর থেকে স্বাভাবিকভাবে আমরা ভেবেছিলাম, আজকের দিনটা ওর জন্য দারুণ যাবে  যেতে পারে। ওই হবে আজকে আমাদের সবচেয়ে ভালো বোলার। প্রত্যাশা করাই যায়, যেহেতু প্রথম ২ ওভারে ৩ উইকেট নিয়েছে। তার ছন্দ ভালো থাকবে, সে অনেক ইতিবাচক অবস্থায় থাকবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা হয়নি। আমার ধারণা, এই ম্যাচ থেকে সে অনেক কিছু শিখতে পারবে।’