ভারতীয় পেসে বিধ্বস্ত পাকিস্তান

গত বছর শেষবারের দেখায় ভারতের ছুড়ে দেওয়া ১৫২ রানের লক্ষ্যে পাকিস্তান পৌঁছে যায় কোনো উইকেট না হারিয়েই। অথচ আজ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেট হারিয়েও দেড় শ’ রান তুলতে পারল না বাবর আজমের দল! ভারতীয় পেস আক্রমণের তোপে ইনিংসজুড়ে রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে তাদের। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ১৪৭ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের রানের চাকা।

মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সাজঘরে পাঠানোর পর ভারতের উল্লাস

ম্যাচ শুরুর আগেই একবার হেরে বসেছে পাকিস্তান। মুদ্রা নিক্ষেপের লড়াইয়ে হেরে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় তাদের। ব্যাট হাতে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে বাবর অ্যান্ড কোং। ইনিংসের শেষ অলআউটের আশঙ্কায় পড়লেও তা এড়াতে পারেননি বাবররা। বরং টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ভারতের বিপক্ষে চতুর্থবার অলআউট হলো পাকিস্তান। ব্যাটসম্যানরা বড় সংগ্রহ এনে দিতে পারেননি; তাই শাহিন আফ্রিদিবিহীন পাকিস্তানের বোলিং বিভাগকে অগ্নিপরীক্ষাই দিতে হবে ভারতের ব্যাটিং গভীরতার বিরুদ্ধে।

পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু ইনিংসজুড়ে ঘুমপাড়ানি ব্যাটিং করেছেন তিনি। ৪২ বলে ৪৩ রান এসেছে এ ওপেনারের ব্যাট থেকে। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন ইফতিখার আহমেদ। ২২ বলের ইনিংসটায় শেষ দিকে একটি ছক্কা মেরে স্ট্রাইক রেটটা একটু মার্জিত করেছেন তিনি। বাকিরা সাজঘর থেকে এলেন আর গেলেন।

পাকিস্তানকে ধসিয়ে দেওয়া পেসার ভুবনেশ্বর কুমারকে ঘিরে ভারতীয়দের উদযাপন

অধিনায়ক বাবর আজম, ফখর জামান ও শাদাব খান তিনজনই সমান ১০ রানে আউট হয়েছেন। শেষ দিকে হ্যারিস রউফ ও শাহনেওয়াজ দাহানির ব্যাট জ্বলে উঠেছিল। রউফ ৭ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে ৬ বলে ১৬ রান তুলে আউট হয়ে যান দাহানি। তাদের ছোটখাটো দুটি ইনিংসের সুবাদে মান বাঁচানো সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।

চার ওভারে ২৬ রানে চার উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে ধসিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় পেসার ভুবনেশ্বর কুমার। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ভারত-পাকিস্তান মহারণে এটাই কোনো বোলারের সেরা। ২৫ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। ৩৩ রানে দুটি শিকার আর্শদীপ সিংয়ের। অন্য উইকেটটা নিয়েছেন আভেশ খান। বোলাররা তাদের কাজটা করেছেন। বাকি কাজটুকু সারার দায়িত্ব এখন ব্যাটসম্যানদের।