আর্জেন্টাইনকে অ্যাগুয়েরো হুমকি: মেসিকে ইনজুরিতে ফেলো না

আগামী ডিসেম্বরে কাতারে অনুষ্ঠিত হবে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসর। প্রতিযোগিতায় ল্যাটিন আমেরিকান দলগুলোর মধ্যে ফেভারিট ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় দলটিকে পাদপ্রদীপে রাখার কারণ লিওনেল মেসি। খুব সম্ভবত এটাই হতে যাচ্ছে পিএসজি সুপারস্টারের শেষ বিশ্বকাপ।

লিওনেল মেসি

কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ক্লাব ফুটবলে আর্জেন্টাইনদের লড়তে হবে নিজেদের বিপক্ষে। তাদের লড়াইয়ের মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। যেখানে এবারের মৌসুমে মৃত্যুকূপ খ্যাত ‘সি’ গ্রুপে পড়েছে বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ, ইন্টার মিলান ও ভিক্টোরিয়া প্লাজেন। এর বাইরে ‘এইচ’ গ্রুপ কিছুটা কঠিন।

এই গ্রুপে পড়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি), বেনফিকা, জুভেন্টাস ও মাকাবি হাইফা। তিনটি দলে আর্জেন্টিনার গুরুত্বপূর্ণ তিন ফুটবলার আছেন। পিএসজির আক্রমণে থাকছেন মেসি, জুভেন্টাসে আক্রমণে অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া ও বেনফিকার রক্ষণ বিভাগে থাকছেন নিকোলাস ওটামেন্ডি।

সার্জিও অ্যাগুয়েরো

খুব স্বাভাবিকভাবেই ক্লাবের স্বপ্নপূরণের জন্য পিএসজির মেসি ও জুভেন্টাসের ডি মারিয়াকে আকটাতে সম্ভাব্য সবকিছুই করবেন বেনফিকা অধিনায়ক ও ডিফেন্ডার ওটামেন্ডি। আর্জেন্টিনার সাবেক স্ট্রাইকার সার্জিও অ্যাগুয়েরোর ভয়টা এখানেই। চোটে পড়ার ঝুঁকিতে থাকবেন মেসি ও ডি মারিয়া।

তাই আগেভাগেই ওটামেন্ডিকে সতর্ক করে দিয়েছেন অ্যাগুয়েরো। কারণ সামনেই যে বিশ্বকাপ! তবে ম্যানচেস্টার সিটি কিংবদন্তি যেভাবে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারকে বার্তা দিলেন সেটা একপ্রকার হুমকি বটে। শুক্রবার ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিস ‘টুইচ’কে নিজের চ্যানেলে রসিকতার ছলে অ্যাগুয়েরো বলেছেন, ‘গ্রুপপর্বে পিএসজির প্রতিপক্ষ বেনফিকা। ওটামেন্ডি লিওকে (মেসি) ইনজুরিতে ফেলো না, খুন করে ফেলব তোমাকে। সামনেই বিশ্বকাপ।’

অ্যাগুয়েরো আরও বলেছেন ‘তুমি ডি মারিয়ারও মুখোমুখি হবে। তোমার কী ভাগ্য, দুইজনকেই (মেসি ও ডি মারিয়া) আটকাতে হবে। সে আবার অধিনায়কও বটে।’

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপে দর্শক হিসেবে থাকবেন অ্যাগুয়েরো। হৃদযন্ত্রে সমস্যার কারণে গত ডিসেম্বরে ফুটবল থেকে অবসর নেন তিনি। দেশের হয়ে ১০১টি ম্যাচ খেলেছেন ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা। আর্জেন্টিনার হয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালেও খেলেছিলেন অ্যাগুয়েরো।