বোল্ট-সাউদির কাঁধে চড়ে নিউজিল্যান্ডের জয়

প্রথম ওয়ানডে জেতায় সিরিজ নিজেদের করে নেওয়ার সুযোগ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে। কিন্তু দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ডাক ওয়ার্থ লুইস মেথডে ৫০ রানের জয় তুলে নিয়েছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা।

সহজ জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড

চলমান ওয়ানডে সুপার লিগে এটা নিউজিল্যান্ডের ১১তম ম্যাচ। ১০ জয়ে কিউইদেরন নামের পাশে আছে ১০০ পয়েন্ট। কেন উইলিয়ামসনরা অবস্থান করছে টেবিলের চার নম্বরে। নয় জয়ে ৯০ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শীর্ষে অবস্থান করছে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের নামের পাশে আছে ১২৫ পয়েন্ট। পাঁচ পয়েন্ট কম নিয়ে দুই নম্বর জায়গাটি দখলে রেখেছে বাংলাদেশ।

বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে আগে ব্যাট করে ২১২ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের মাঝপথে বৃষ্টি নামলে ৪১ ওভারে সমান রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে। ৩৫.৩ ওভারে মাত্র ১৬১ রানেই অলআউট হয় নিকোলাস পুরানের দল। মূলত টপঅর্ডারের ব্যর্থতার কারণেই পরাজয় বরণ করতে হয়েছে স্বাগতিকদের।

প্রথম ওয়ানডেতে জয় তুলে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭২ রানেই প্রথম সারির আট ব্যাটসম্যানকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নবম উইকেটে ইয়ানিক কারিয়াহ ও আলজারি জোসেফের প্রতিরোধে মান বাঁচে ক্যারিবিয়ানদের। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এই দুজন যোগ করেন ৮৫ রান। এরপরও হার এড়াতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলেন কারিয়াহ। ৩০ বছর বয়সী ক্রিকেটারের ৮৪ বলের ইনিংসটা সাজানো ছিল ২ চার এবং ১ ছয়ের মারে। ৩১ বল মোকাবেলা করা জোসেফের ব্যাট থেকে আসে ৪৯ রান। কেসি কার্টি ও শাই হোপ করেন সমান ১৬ রান। ২২ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন সাউদি। বোল্টের শিকার তিনটি।

এর আগে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৭ চার এবং তিন ছয়ের সাহায্যে সর্বোচ্চ ৯৬ রান করেন ফিন অ্যালেন। ড্যারেল মিচেল খেলেন ৪১ রানের ইনিংস। মিচেল সান্টনারের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ২৬ রান। কেভিন সিনক্লেয়ারের শিকার ৪ উইকেট। জেসন হোল্ডার নেন তিন উইকেট।