বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৯৬, ইংল্যান্ডকে করতে হবে ২৭২

খেলা দেখে থাকলে এটা টেস্ট ছিলো কিনা ওয়ানডে, সেটা নিয়ে সন্দেহ হতেই পারে কারও মনে। বাংলাদেশের খেলোয়াররাও মনে হয় দ্বন্দ্বে ছিলেন। আর না হয় একের পর শট খেলার মানে কি শুধুমাত্র তারাই বলতে পারবেন। দুই-একজন তো ম্যাচটাকে টি-২০ ধরেই খেললেন বোধ হয়।

এতো কিছুর পরও তৃতীয় দিনে এসে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯৬ রান সংগ্রহ করলো বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ২৪ রানের লিড বাদ দিলে ম্যাচ জিততে হলে ২৭২ রান করতে হবে ইংলিশদের। দুই দলের প্রথম ইনিংস বিবেচনায় আনলে ইংলিশ ক্যাপ্টেনের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তেই পারে।

তৃতীয় দিন সকালে দিন শুরু হয় ইমরুল-সাকিবের ব্যাটিংয়ের মধ্য দিয়ে। গতকাল শেষ সেশনের শেষ বলে মাহমুদউল্লাহ আউট হয়ে যাওয়ায় ইমরুলের সাথে সাকিব মাঠে নামলেন আজ। গতকাল ইমরুল অপরাজিত ছিলেন ৫৯ রানে।

আজ সকালের সেশনে প্রথম ঘণ্টায় মাত্র একটি উইকেট পড়লো। নয়টি চারের মারসহ ব্যক্তিগত ৭৮ রানে ইমরুল যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছেন তখন দলীয় রান ২০০-এর কোঠা পার হয়েছে। এই উইকেট জুটিতে জমা হলো ৪৮টি রান।

এরপর সাকিবের সঙ্গী হলেন দলীয় অধিনায়ক মুশফিক। কিন্তু গত কয়েকটি ম্যাচে নিজের ছায়া হয়ে থাকা মুশফিক এ ম্যাচেও নিজেকে খুঁজে ফিরে মরলেন। ২৯ বলে নয় রান করে স্টোকসের বলে ক্যাচ আউট হয়ে দলীয় ২৩৮ রানে ফিরে গেলেন তিনি। এর একটু আগে অবশ্য সাজঘরে ফিরে গেছেন সাকিব আল হাসানও। সেটাও ২৩৮ রানেই। আদিল রশিদের বলে পরিষ্কার বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এক্ষেত্রে আদিল রশিদকে এককভাবে কৃতিত্বটা দেয়া যায় না। আউট হওয়ার জন্য সাকিবেরও একটা তাড়না ছিলো মনে হয়েছে! অফ স্ট্যাম্পের ওপর আসা বলটিকে কাট করতে যেয়ে বোল্ড হন তিনি। ৮১ বলে ৪১ রান করা সাকিব চারই মেরেছিলেন ছয়টি।

এরপর মাঠে নামেন দুই নতুন ব্যাটসম্যান। সাব্বির এবং শুভাগত হোম। নেমেই এই দুই ব্যাটসম্যান যেভাবে ব্যাট চালাচ্ছিলেন তাতে ম্যাচটাকে টি-২০ মনে করে ভুল হতেই পারে। তিনটি চারের মারে ১৭ রানে ১৫ রান করে আদিল রশিদের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সাব্বির। তখন ক্রিজে ছিলেন শুভাগত হোম। সাব্বির যখন আউট হন তখন শুভাগতের রান ১১ বলে ১৫! সাব্বিরের আউটের পরপরই লাঞ্চব্রেক দেওয়া হয়।

লাঞ্চ ব্রেকের পর মাঠে নামেন তাইজুল ইসলাম। মাত্র চার বলে পাঁচ রান করেই স্টোকসের বলে ধরা পড়ে বিদায় নেন তিনি। নবম উইকেট জুটিতে শুভাগত হোমকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামেন মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু মাত্র দুই রান করেই দলীয় ২৭৬ রানে আউট হয়ে যান তিনি।

পরের ব্যাটসম্যান কামরুল ইসলাম রাব্বি। টেস্ট ক্রিকেটে রানের খাতাই খুললেন মঈন আলীকে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে। তারপর মাত্র আর একটি রান যোগ করতে পারলেন তিনি। ব্যক্তিগত সাত রানে আদিল রশিদের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে গেলেন তিনি। অপরপাশে শুভাগত অপরাজিত ছিলেন ২৫ রানে। এই উইকেট জুটিতে ২০ রান যোগ করেন দুজন।

ইংল্যান্ডের পক্ষে আদিল রশিদ চারটি ও বেন স্টোকস তিনটি উইকেট নিয়েছেন। দুই উইকেট নিয়েছেন জাফর আনসারি। আর একটিমাত্র উইকেট পেয়েছেন মঈন আলী।

আপনি আরও পড়তে পারেন

নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে লজ্জাজনক পরাজয়, সিরিজ ভারতের

শেষ বলের আক্ষেপ, দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫২ রান

লিড নিয়েই ছাড়লো ইংল্যান্ড দল

বাংলার মায়াবী স্পিনে টালমাটাল ইংল্যান্ড

তামিম: আমি ভুল করেছি