অভিযানের পরের দিনই হকারদের দখলে গুলিস্তানের ফুটপাত

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলিস্তানে ফুটপাত ও সড়ক হকারদের দখলমুক্ত করতে বড় ধরনের অভিযান চালায় সিটি করপোরেশন। এ সময় ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও শেষ পর্যন্ত ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সমর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। তবে অভিযানের ঠিক পরের দিনই আবারও হকারদের দখলে চলে গেছে গুলিস্তানের ফুটপাত ও সড়ক।

২৮ অক্টোবর শুক্রবার সকাল থেকেই গুলিস্তানের হকাররা আগেরমতো নানারকম পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন। এ কারণে যান চলাচলে কিছুটা ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। গুলিস্তানের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, গোলাপশাহ মাজার পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশেই অসংখ্য হকার দেখা গেছে। সড়কের অর্ধেকই যেন চলে গেছে হকারদের দখলে। নতুন করে কিছু হকার বসারও প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। হকারদের কাপড়, জুতা, ফলমূলসহ বিভিন্ন পণ্যের বেচাকিনি করতে দেখা গেছে।

হকারদের আবারো দোকান দেয়া প্রসঙ্গে ছিন্নমূল হকার্স সমিতির নেতা কামাল সিদ্দিকী জানান, গতকাল প্রথমে পাতাল মার্কেটের কিছু লোকজন রাজধানীর নগরভবনে গিয়ে কিছু ঝামেলা পাকায়। তখনই সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়। এরপরই সিটি করপোরেশনের লোকজন এসে সেখানকার হকারদের উচ্ছেদ করে।' তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়া-বায়তুল মোকাররম এবং পল্টন এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন হাজারের অধিক হকার দোকান নিয়ে বসেন। তিনি বলেন, 'ফুটপাতে বসতে না দিলে এতো লোকের কর্মসংস্থানের অসুবিধা হবে। ব্যবসা না করলে আমরা কি খাবো।'

সিটি করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি। খুব শীঘ্রই আবারো গুলিস্তানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার দুই দফায় গুলিস্তান পাতাল সড়কে এবং গোলাপশাহ মাজার থেকে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখ পর্যন্ত সড়কে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

আপনি আরো পড়তে পারেন

রাবি ‘ডি’ ইউনিট: প্রতি দুইশ’ জনে ১ জন পাশ

পুলিশের মহাপরিদর্শক: পুলিশ ও র‌্যাবের মধ্যে কোনো দ্বন্দ নেই

স্বাস্থ্যমন্ত্রী: বিএনপির সঙ্গে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই

রিজভী আহমেদ: নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দেশবাসী

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু