পারলো না বাংলাদেশ

পারেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর স্বপ্নটা আপাতত অধরাই থেকে গেলো। মেলবোর্নে ৩৩৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯২ রানে হেরে গেছেন মাশরাফিরা। দিলশান ও সাঙ্গাকারার জবাবে দাঁড়াতে পারেননি তামিম-বিজয়রা।

ওভার প্রতি ছয় রানের বেশি করে নেওয়ার প্রয়োজন ছিলো বাংলাদেশের। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান তামিম। শ্রীলঙ্কার বিশাল স্কোরের পর তার আউটের মাধ্যমেই প্রথম ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। পরে টানা উইকেট হারানোয় জয়ের পরিবেশ আর সৃষ্টি করা হয়নি মাশরাফিদের।

শেষ পর্যন্ত ইনিংসের দম শেষ হয়ে যায় ২৪০ রানে। সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন সাব্বির। তার সাথে মুশফিকের ষষ্ট উইকেট জুটিতে দারুণ এক স্বপ্নের সামনে ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু হঠাৎ তাল হারিয়ে মুশফিকের আউটের মাধ্যমে ম্যাচ থেকে সম্পূর্ণভাবে ছিটকে যান মাশরাফিরা।

শূন্যতে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর দ্বিতীয় উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়েন সৌম্য ও বিজয়। দারুণ খেলছিলেন সৌম্য। ২৬ বলে পাঁচটি চার ২৫ রান করেছিলেন তিনি। কিন্তু ম্যাথুস বোলিংয়ে এসে থামান তাকে। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের কাছে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি।

পরের উইকেটে বিজয়ের সঙ্গী হন মুমিনুল। কিন্তু কিছুই করেত পারেননি তিনি। স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে এক রান। চতুর্থ উইকেটে ৪৩ রান যোগ করেন রিয়াদ ও বিজয়। কিন্তু বিজয়ের এলোমেলো রানিং বিটুইন দ্যা উইকেটের ফলে রান আউটের মাধ্যমে জুটিটির অপমৃত্যু হয়। ৪৩ বলে ২৯ রান করেছিলেন বিজয়।

পঞ্চম উইকেটে ১৬ রান করেন রিয়াদ ও সাকিব। এরপর থিসারা পেরেরার হঠাৎ লাফিয়ে উঠা শর্টবলে ক্যাচ উঠিয়ে দেন তিনি। দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে তাকে ফেরান হেরাথ। ২৮ রান করেছিলেন রিয়াদ। পরের উইকেটে বাংলাদেশের আশা হয়ে উঠেন সাকিব ও মুশফিক। ৬৪ রান যোগ করেন তারা। দলীয় ১৬৪ রানে লং অনে মালিঙ্গার কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন সাকিব। ৪৬ রান করেছিলেন বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। পরে ৩৬ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরেন মুশফিক। এরপরও বাংলাদেশে রান আড়াইশ'র কাছাকাছি যায় সাব্বিরের কল্যাণে।

এর আগে ৩৩২ রান করার পথে সেঞ্চুরি করেন লঙ্কান ওপেনার দিলশান ও সাঙ্গাকারা। বাংলাদেশকে পেলে দুজনই জ্বলে উঠেন। মেলবোর্নেও ব্যতিক্রম ঘটানোর মতো কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ। ফিল্ডারদের লজ্জাজনক পারফর্মেই এতো বেশি রান করে তারা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সহজ ক্যাচ ছাড়েন এনামুল। থিরিমান্নের ক্যাচ ছাড়েন তিনি। যে শেষ পর্যন্ত ৫২ রান করে। পরে সাঙ্গাকারাও তাসকিন ও মুমিনুলের কল্যাণে দুইবার লাইফ পান। মুশফিকের স্ট্যাম্পিং মিসেও ডুবে বাংলাদেশ।

আপনি আরো পড়তে পারেন

স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে আফগানদের ইতিহাস

লড়াই করে হারলো আমিরাত