অলিম্পিকে ফিরতে পারে ক্রিকেট

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ অলিম্পিক গেমস। প্রতিযোগিতায় ক্রিকেট ফেরানোর দাবিটা বহু বছরের পুরোনো। অবশেষে দাবি পূরণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে ফিরবে ক্রিকেট। আগামী বছর এ নিয়ে মুম্বাইতে একটি সেশন করতে চায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)।

আইসিসি ও আইওসি

সোমবার রাতে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে। তাদের দাবি, ইতোমধ্যে আইসিসিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আইওসি। ২০২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তি করতে বৈশ্বিক দুই ক্রীড়া সংগঠনের বৈঠকের কথা রয়েছে। ক্রিকেট ছাড়াও আরো আটটি ক্রীড়া সংস্থাকে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে আইওসির তরফ থেকে।

বেসবল, সফটবল, ফ্লাগ ফুটবল, লাক্রোস, কারাতে, কিকবক্সিং, স্কোয়াশ, মটো স্পোর্ট-ও অলিম্পিকে যুক্ত করার কথা ভাবছে আইওসি। খেলাগুলোর সর্বোচ্চ অভিভাবক সংস্থাকে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে তারা। আইওসির একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ক্রিকেট ওয়েবসাইটটি। আগামী মাসে এ নিয়ে প্রেজেন্টেশন হওয়ার কথা। তবে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আইওসি।

লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে ইতোমধ্যে ২৮টি ডিসিপ্লিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইওসির সূত্রের খবর, ছয় বছর পরের অলিম্পিকে সাড়ে দশ হাজার ক্রীড়াবিদ পর্যন্ত অংশ নেওয়ার সুযোগ আছে, যা কাজে লাগাতে চায় আইওসি। এ কারণেই গেমসে নতুন ডিসিপ্লিন আনার পরিকল্পনা করছে তারা। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে সংস্থাটি।

অলিম্পিক গেমসের ইতিহাসে একবারই ক্রিকেট ডিসিপ্লিনারি দেখা গেছে। সেটাও ১২২ বছর আগে, ১৯০০ সালে প্যারিস অলিম্পিকে। ১৯৮৬ সালে অ্যাথেন্স অলিম্পিকের জন্য ক্রিকেটকে তালিকাভুক্ত করা হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত দল অংশ না নেওয়ায় তখন আলোর মুখ দেখেনি ক্রিকেট ইভেন্ট। চার বছর পর কিছু দল আসলেও বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ায়।

অলিম্পিক গেমসে ক্রিকেট ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছিল যুক্তরাজ্য। রৌপ্য পদক পায় ফ্রেঞ্চ অ্যাথলেটিক ক্লাব ইউনিয়ন। এরপর আর ক্রিকেট দেখা যায়নি ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ক্রীড়া মহাযজ্ঞে। কয়েক দশক ধরে ক্রিকেট ফেরানোর দাবি উঠলেও তা কেবল আলোচনার টেবিল পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে আইওসি। নতুন কয়েকটি ডিসিপ্লিনের সঙ্গে ক্রিকেটও ফেরানোর পরিকল্পনা করছে তারা।