এক ম্যাচে দুই রেকর্ড ম্যাকয়ের

পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সোমবার রাতে দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেছে ক্যারিবীয়রা। রোহিত শর্মার দল হেরে গেছে পাঁচ উইকেট। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতেই ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। রান তাড়ায় পাঁচ উইকেট ও চার বল হাতে রেখে রাজসিক জয় তুলে নেয় স্বাগতিক শিবির (১৪১/৫)।

রেকর্ড গড়েছেন ম্যাককয়

ঘরের মাঠ ত্রিনিদাদে ক্যারিবীয়দের একচ্ছত্র আধিপত্যের জয়ের নায়ক ওবেদ ম্যাককয়। ভারতের ব্যাটিং স্তম্ভ প্রায় একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী বাঁ-হাতি পেসার। চার ওভারে মেডেনসহ ১৭ রানের বিনিময়ে ছয় উইকেট নিয়েছেন ম্যাককয়। অবিশ্বাস্য বোলিং নৈপুণ্যে অবধারিতভাবেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি গড়েছেন দুটি বড় রেকর্ড।

টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটে ইতিহাসে এটাই এখন সেরা বোলিং ফিগার। প্রথম ক্যারিবীয় বোলার হিসেবে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ছয় উইকেট নিয়েছেন ম্যাককয়। দেশের জার্সিতে সেরা বোলিংয়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন কিমো পলকে। ২০১৮ সালে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৫ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

মেরুন জার্সিত পাঁচ উইকেট নিয়েছেন আরো কয়েকজন। তবে ছয় উইকেট নেওয়ার কীর্তি এবারই প্রথম। শুধু উইন্ডিজ বোলার হিসেবেই নন, প্রতিপক্ষ ভারতের ছয় উইকেট নেওয়া প্রথম ও একমাত্র বোলারও তিনিই। তার আগে ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২০২১ সালে কলম্বোতে নয় রান খরচায় চার উইকেট নিয়েছিলেন লঙ্কান স্পিনার।

তবে (আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশের বোলারদের মধ্যে) সার্বজনীন রেকর্ডে ম্যাককয়ের বোলিং ফিগার সেরা চারে। ২০১৯ সালে নাগপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে সাত রানে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন ভারতীয় পেসার, যা এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং। তিন বছর পর হাম্বানটোটায় আট রানে জিম্বাবুয়ের ছয় উইকেট নিয়েছিলেন লঙ্কান স্পিনার অজান্তা মেন্ডিস।

২০১১ সালে পাল্লেকেল্লেতে ১৬ রান খরচায় অস্ট্রেলিয়ার ছয় ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠিয়েছিলেন তিনি। এবার ছয় উইকেট নিয়ে তাদের কাছাকাছি এলেন ম্যাককয়। ক্যারিবীয় পেসার পেছনে ফেলেছেন যুভেন্দ্র চাহালকে। ২০১৭ সালে ব্যাঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫ রানে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন ভারতীয় স্পিনার। গত বছর ওয়েলিংটনে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাস্টন অ্যাগার ৩০ রানে নেন নিউজিল্যান্ডের ছয় উইকেট।