মন্ত্রী: লোকসান কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিটিসিএল

ল্যান্ডফোনে কথা বলা কমে গেছে, ফলে গ্রাহকও কমেছে। এতে করে প্রতি বছর বিটিসিএলকে বিশাল অঙ্কের লোকসান গুনতে হয়েছে। গত চার থেকে পাঁচ বছর আগেও বছরে লোকসান গুনতে হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। তবে সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিটিসিএল, দেখছে লাভের মুখ। মানুষ এখন বলছে, এলাকায় টেলিফোন সংযোগ দরকার, সাথে জিপন ইন্টারনেট। প্রযুক্তি ও পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে বিটিসিএল ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে, কথাগুলো বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ফাইল ছবি

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এবং বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের মধ্যে টাওয়ার শেয়ারিং সংক্রান্ত চুক্তির সময় তিনি এ কথা বলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিটিসিএল এবং বাংলালিংক অপটিক্যাল ফাইবার অবকাঠামো শেয়ার করেছে। বিটিসিএল যেমন তার রিসোর্স শেয়ার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তেমনই বাংলালিংক সেই রিসোর্স ব্যবহার করে আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। এতে উভয়পক্ষই লাভবান হচ্ছে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার বলেন, আমরা সব সময়েই অবকাঠামো শেয়ারিং করাকে স্বাগত জানাই। বাংলালিংক ও বিটিসিএলের দৃষ্টান্ত বাকিরা অনুসরণ করবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।

বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল এ চুক্তির বিষয়ে বলেন, গত বছর থেকে আমরা বাংলালিংকের সাথে অপটিক্যাল ফাইবার শেয়ার করে আসছি। উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি ইতিবাচক ফলাফল বয়ে এনেছে। এখন দেশ জ্বালানি সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় অবকাঠামো ভাগাভাগি একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস।