ভারতের সিরিজ জয়ের উদযাপনে শ্যাম্পেইন, এড়িয়ে প্রশংসিত সিরাজ-শামি

নির্দিষ্ট কিছু দলকে মাঠে বিজয় উদযাপনে শ্যাম্পেইন ব্যবহার করতে দেখা যায়। তবে তা থেকে স্কোয়াডের মুসলিম খেলোয়াড়রা নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখেন। এমন দৃশ্য অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা দলে অনেকবার দেখা গেছে। এবার সিরাজ ও শামির সৌজন্যে সেই দৃশ্য দেখা গেল ভারতীয় দলেও। খবর জিও নিউজ।

শ্যাম্পেন উৎসব থেকে দূরে শামি

সম্প্রতি ম্যানচেস্টারে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জেতার আনন্দে মাতে রোহিত শর্মার দল। একটা সময় শ্যাম্পেইন উদযাপনে মেতে ওঠেন বিরাট, পন্তরা। তবে সেই উদযাপন থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখেন ভারতীয় দলের দুই মুসলিম ক্রিকেটার মুহাম্মদ সিরাজ ও মুহাম্মদ শামি। বিষয়টি নিয়ে প্রশংসিত হচ্ছে সিরাজ, শামিসহ পুরো দল।

সিরিজ জয় উদযাপন অনুষ্ঠানের ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রফি হাতে ভারতীয় দল যখন পোজ দিতে শুরু করছে, তখন শার্দুল ঠাকুর, ঋষভ পন্ত শ্যাম্পেনের বোতল হাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেটা দেখে আগে-ভাগে সেখান থেকে সরে যান মুহাম্মদ সিরাজ। দলের অন্যতম বোলিং অস্ত্র মুহাম্মদ শামিকেও দেখা যায় দলের শ্যাম্পেন উদযাপন থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে।

রোহিত শর্মাদের শ্যাম্পেন উৎসব

খেলাধুলার বিভিন্ন ইভেন্টে শিরোপা জয়ে শ্যাম্পেন উদযাপন আজকাল স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বিষয়টি মুসলিম সদস্যদের জন্য বেশ বিব্রতকর। কারণ ইসলাম ধর্মে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ। বিব্রতকর অবস্থা এড়াতে মুসলিম খেলোয়াড়রা নীরবেই সেখান থেকে সরে দাঁড়ান। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া শিবিরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে বেশ কয়েকবার।

২০১৮ সালে কেনিংটন ওভাল টেস্টে রোমাঞ্চ জাগিয়ে ভারতকে ১১৮ রানে হারিয়ে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে উদযাপনে মেতেছিল ইংলিশ ক্রিকেটাররা। সতীর্থ খেলোয়াড়রা যখন শ্যাম্পেইন দিয়ে বিজয় উদযাপন করছিলেন তখন কিছুটা দূরে সরে দাঁড়ান মঈন আলি ও আদিল রশিদ। একই ঘটনা ঘটে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জেতার পর। সেখানেও মঈন আলি ও আদিল রশিদ একইভাবে পেছনে সরে যান।

সম্প্রতি একই ঘটনা ঘটে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে থাকা অস্ট্রেলিয়া দলেও। অ্যাসেজ জিতে তারা মাতে শ্যাম্পেইন উদযাপনে। উসমান খাজা সেটা জেনে আগে থেকেই একটু দূরে ছিলেন। তবে বিষয়টি লক্ষ্য করে অধিনায়ক কামিন্স শ্যাম্পেন উদযাপন বন্ধ রেখে মঞ্চে খাঁজাকে ডেকে নেন। সেখানে ফটো সেশন শেষে উসমানকে সরে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে তারপর শ্যাম্পেন উদযাপনে মাতে কামিন্সের দল। এ ঘটনায় পুরো অস্ট্রেলিয়া দল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার হাশিম আমলার ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এবার সেই ধারার সূচনা হলো ভারতীয় দলেও।