ধর্মমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় যারা

অনেকটা আকস্মিকভাবেই মারা গেলেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। এই মন্ত্রণালয়ের কোনো মন্ত্রীও নেই, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে একাই সবকিছু সামলেছেন শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মন্ত্রীশূন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে তাই জোর আলোচনা চলছে। কে হতে যাচ্ছেন দেশের পরবর্তী ধর্মমন্ত্রী তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও অনেক জল্পনা-কল্পনা।

রুহুল আমিন মাদানী (বাঁয়ে) ও বজলুল হক হারুন

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্মমন্ত্রী হিসেবে চারজনকে নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে। এরপর দলের অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনায় সেটা এখন ঠেকেছে দুই জনে। তবে কোনো মন্ত্রী নিয়োগের একচ্ছত্র ক্ষমতা যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর তাই তার সিদ্ধান্তই শেষ কথা। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাশ হয়ে গেলেই ধর্মমন্ত্রী নিযুক্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে দলীয় ফোরামে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনাজুড়ে ছিল ৪ জনের নাম। ময়মনসিংহ-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী, ঝালকাঠি-১ আসনের বজলুল হক হারুন, পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে নির্বাচিত আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন। আওয়ামী লীগের এই ৩ সংসদ সদস্যের পাশাপাশি জোটের একজন সাংসদকে নিয়েও আলোচনা হয়েছে, তিনি তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যার সৈয়দ নাজিবুল বাশার মাইজভান্ডারী।

আলোচনায় প্রথম দুজনের বিষয়েই বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা। কারণ ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা আছে তাদের দুজনেরই। এছাড়া দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে এই দুজনের গ্রহণযোগ্যতাও বেশ ভালো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সিনিয়র নেতা বলেন, আমাদের দেশে আলেমদের মধ্যে অনেক বিভাজন। ধর্মমন্ত্রী হিসেবে এমন একজনকে খোঁজা হচ্ছে, যার সঙ্গে সব পক্ষেরই ভালো সম্পর্ক আছে। এছাড়া এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান থাকাটাও জরুরি। এসব বিবেচনায় আমরা দুজনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই দুজনের মধ্যে আবার পাদপ্রদীপের আলোয় ছিলেন ময়মনসিংহ-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী। ধর্ম বিষয়ে তিনি বিশেষ জ্ঞান রাখেন।