যুক্তরাষ্ট্রের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের ঠাঁই দেবে সানা বিশ্ববিদ্যালয়

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের যদি মার্কিন কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করে, তবে তাদের শিক্ষাজীবন চালিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ইয়েমেনের সানা ইউনিভার্সিটি। খবর রয়টার্সের।

নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ

গাজায় দীর্ঘ সাত মাস ধরে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গত ৭ অক্টোবর থেকে টানা ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৪ হাজার ৬০০ জনের বেশি নিহত এবং আরও প্রায় ৭৮ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ২৫টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁবু গেঁড়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলকে অস্ত্র-অর্থ দিয়ে সমর্থনদান বন্ধ করুক। কেননা, মার্কিন অস্ত্র-বোমা দিয়েই গাজায় হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে ইসরায়েল।

বিক্ষোভ দমনে নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনির্ভাসিটি, লসঅ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটিসহ অসংখ্য ক্যাম্পাসে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এরইমধ্যে মার্কিন কর্তৃপক্ষ অন্তত ৯০০ দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে। বিক্ষোভকারীদের বহিষ্কার করারও হুমকি দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

এমন পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে ইয়েমেনের সানা ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয়টি ইয়েমেনের হুথিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হুথিরা গাজার হামাসের পক্ষ নিয়ে সাগরে ইসরায়েলসহ পশ্চিমা বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

সানা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুক্রবার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভকারী কোনো শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করলে তার শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করে দেবে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস, যদি মার্কিন কর্তৃপক্ষ তাদের বহিষ্কার করে, তবে আমরা তাদের স্বাগত জানাবো। তারা ইয়েমেনে তাদের শিক্ষাজীবন চালিয়ে যেতে পারবেন। আমরা এই যুদ্ধে সর্বউপায়েই ফিলিস্তিনের পাশে আছি।

সানা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর দমনপীড়ন চালানোর নিন্দা জানিয়েছে।