নাইজারে মার্কিন ঘাঁটিতে প্রবেশ করল রুশ সেনারা

আফ্রিকার দেশ নাইজারের একটি মার্কিন ঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে রাশিয়ার সেনারা। নাইজারের সামরিক জান্তা সরকার গত মার্চে মার্কিন সেনাদের দেশত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশের মাসখানেক পর মার্কিন ঘাঁটিতে রুশ সেনা প্রবেশের ঘটনা ঘটল। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

নাইজারের বিমানঘাঁটি

এক সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে গত বছরের জুলাইয়ে নাইজারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থানের পরপরই জান্তা সরকার ফ্রান্সের সেনাদের নাইজার ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরের মার্চে তারা নাইজারে থাকা এক হাজার মার্কিন সেনাকে দেশত্যাগের নির্দেশ দেয়। জান্তা সরকার অভিযোগ করে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। তাই তারা নাইজারে থাকতে পারবে না।

আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে আইএস ও আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মার্কিন বাহিনীর লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ছিল নাইজার। ফলে নাইজারসহ আফ্রিকার দেশগুলোতে আগে পশ্চিমা প্রভাব অনেক বেশি ছিল। তবে সম্প্রতি তাদের সঙ্গে আফ্রিকার দেশগুলোর দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। ফলে তারা ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্রসহ এসব পশ্চিমা দেশকে আফ্রিকা ছাড়তে বলছে। একই সঙ্গে নিরাপত্তা ইস্যুতে তারা রাশিয়ার দ্বারস্থ হচ্ছে।

নাইজার ও রাশিয়া

এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি রুশ সেনারা নাইজারের একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ে। ‘এয়ারবেজ ১০১’ নামের বিমানঘাঁটিটি নাইজারের রাজধানী নিয়ামির ডিওরি হামানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছেই অবস্থিত। তবে উভয় দেশের সেনাসদস্যরা সেখানে পৃথক স্থানে অবস্থান করছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ‘এয়ারবেজ ১০১’ বিমানঘাঁটির একটি পৃথক কম্পাউন্ডে রাশিয়ার লোকজন অবস্থান নিয়েছে। তবে এই মুহূর্তে তিনি সেখানে মার্কিন বাহিনীর নিরাপত্তা বা সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড় কোনো সমস্যা দেখতে পাচ্ছেন না বলে জানান।

রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে ভালো যাচ্ছে না। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে আরও অবনতি ঘটেছে।